কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে যাওয়া শাহপরীরদ্বীপ একই এলাকার চার বাংলাদেশি জেলেকে পাঁচ দিন পার হলেও ফিরিয়ে দেয়নি মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।
আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের পরিবারের। তবে কেউ কেউ তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন, তারা ভালো আছেন, তাদের রান্না করে খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা জেলেরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত তৈয়বের ছেলে মো. হাসান (৩০), একই এলাকার বাসিন্দার সলিমুল্লাহ ছেলে মো. জাবেদ (১৮), কবির আহমদের ছেলে মো. আব্দু রহিম (১৭), মৃত আলমের ছেলে মো. হাসান (১৯)।
জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ নাফ নদীর গোলার ছড় নামক স্থানে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে পড়লে ৪ বাংলাদেশি জেলেসহ ১০জনকে আটক করে আরাকান আর্মি।
বাংলাদেশি চার জেলে ছাড়াও বাতি ৬ জন রোহিঙ্গা জেলে। তারা হলেন, টেকনাফ হ্নীলা ২৬ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন (২৭), কবির আহাম্মদ(৩৬) আমান উল্লাহ (৫৪), মোহাম্মদ হোসাইন(২৫), হামিদ হোসাইন (৪৮) ও নুর হোসেন ( ৩৯)।
শাহপরীর দ্বীপের নৌকার মাঝি জেলে মো. হাসানের স্ত্রী নুর নাহার বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আটকের একদিন পরে ফোন করেছিল। এসময় তিনি বলেছিলেন, আমরা ভালো আছি। আরাকান আর্মি আমাদের রান্না করে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
তারা আজকাল ছেড়ে দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেহেতু বিষয়টি জেনেছে সেজন্য ছেড়ে দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে এবং বিজিবিকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেছে।’
টেকনাফ ২৬ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি বদরুল ইসলাম বলেন,ক্যাম্পের বি ব্লকের ৬ রোহিঙ্গা জেলে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নাফনদীতে মাছ ধরতে যায়।
এসময় তারা ভুলে মিয়ানমার সীমান্তে চলে গেলে তাদের আটক করে আরাকান আর্মি। ঘটনার বেশ কয়েকদিন হতে চললেও কেউ এখনও ছাড়া পায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মির হাতে আটক জেলেদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছেন। আশা করি আটক জেলেরা দ্রুত বাড়ি ফেরত আসতে পারবেন।
জেএন/পিআর