বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন দেশে যেমন নির্বাচনের চমৎকার পরিবেশ বিরাজমান একই সাথে সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একটি। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষা করছে। সুস্থ ও নিরপেক্ষ জন্য অপেক্ষ করছে। যারা দেশের নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক তার চাই না।
মীর হেলাল আজ বিকেলে নগরীর দোস্ত বিল্ডিংস্থ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রস্তুুতি মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
জেলা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুুতি সভায় ব্যারিস্টার হেলাল বলেন, নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হলে কিংবা দেশে শীঘ্রই জাতীয় নির্বাচন না হলে দানবীয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠবে। এমনকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দীর্ঘায়িত হতে পারে। ছাত্র যুবক, কৃষক শ্রমিক সহ-সাধারণ মানুষ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে বলে উল্লেখ করে মীর হেলাল বলেন, যে দেশের জনগণ দানবীয় হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দেড়যুগ ধরে হামলা-মামলা, ঘুম -খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, জেল-জুলুম সহ অত্যাচার-অনাচার মোকাবেলা করে সংগ্রাম করেছে, অকাতরে জীবন দিয়েছে সেদেশের মানুষের একটি অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ছলচাতুরি মেনে নিবে না।
মীর হেলাল বিএনপিকে মাটি ও মানুষের সংগঠন বলে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করে লাভ নেই। অতীতে বিএনপি অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্টায় বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগ্রামের ইতিহাস দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীর জানা আছে। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী এবারও বিএনপি নেতাকর্মীরা পিছপা হবে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া ন্যূনতম সংস্কার করে অবিলম্বে নির্বাচন দিন। পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কার জনগণের মেন্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সরকারই করবে। আপনারা দ্রব্যমূল্যের রোধ করুন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করুন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার কাজে মনোনিবেশ করুন। ব্যারিস্টার মীর হেলাল দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন অতি দ্রুত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন। দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় সংস্কার ৩১ দফার মধ্যে নিহিত আছে। তিনি আসন্ন রমজান মাসে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি সাধারণ মানুষের থাকার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী সমাবেশে দক্ষিণ জেলার আওতাধীন প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সাধরণ মানুষকে সম্পৃক্তকর ব্যানার ফেস্টুন সহকারে মিছিল নিয়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীন দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রতিটি ঘরকে বিএনপি’র একটি দুর্ভেধ্য দুর্গ গড়ে তুলতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জামাল হোসেন, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ইসহাক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাস্টার লোকমান, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, রেজাউল করিম নেছার চেয়ারম্যান, হাজী আবুল কালাম আবু, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ চৌধুরী, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহাদুর রহমান মাদু, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এস.এম. ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, নুরুল কবির, অধ্যাপক এহসানুল মাওলা, মো. জসিম উদ্দিন, শওকত আলম চৌধুরী, হাজী রফিকুল আলম, নওয়াব মিয়া, জসিম উদ্দিন আবদুল্লাহ, আবদুল জলিল চৌধুরী, আবদুল মোনাফ, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হাজী ওসমান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব ইউসুফ চৌধুরী, সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুর রহিম, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব বাবু খান, অ্যাড. শওকত ওসমান। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, কৃষক দলের আহ্বায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা, সালেহ জহুর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর জাকের আহমেদ, আফছার উদ্দিন সোহেল, মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, সাধারণ সম্পাদিকা সেলিনা আক্তার, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, সদস্য সচিব জাহেদুল ইসলাম, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা মুজিবুর রহমান, সদস্য সচিব জাবের আহমেদ, জাসাসের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা ইসমাইল চৌধুরী, জাহেদুল হক, নজরুল ইসলাম, অ্যাড. আবু তাহের, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, হাজী আবদুর রাজ্জাক, হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
জেএন/এমআর