র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার সদস্যরা। শুক্রবার শহরের কলোনি এলাকায় শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার গাবতলীর আরমান আলী (৩৮), একই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৫) এবং ঝালকাঠির নলছিটি এলাকার মামুন হোসেন তালুকদার (৩৭)। এর মধ্যে প্রথম দুজন চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম দুজন চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য।
তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি গাবতলীর রঞ্জু মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছে মোবাইলে ফোন করে প্রতারক চক্র নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে।
তারা ভয় দেখায় যে র্যাব অফিসে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং তা থেকে বাঁচতে হলে এক লাখ টাকা দিতে হবে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ভুক্তভোগী র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়ায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং কৌশলে তাদের জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে আসতে বলা হয়। সেখানে আসলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর একটি ভুয়া অস্থায়ী পরিচয়পত্র, ডিজিএফআইয়ের ভুয়া আইডি কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং কালো রঙের রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জেএন/পিআর