ঝিনাইদহের শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডারসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা এবং গাজীপুর জেলার সোনাতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু সাঈদ ও জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলাম।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার হরিণাকুণ্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করা হয়।
সেই মামলার প্রেক্ষিতে আসামি ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের সার্কিট হাউজ-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু সাঈদকে আটক করা হয়।
ঠিক একই সময় র্যাবের পৃথক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করে। তাদের দুইজনকে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এরা হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হরিণাকুণ্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিায়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম।
এই ৩ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন জাসদ গণবাহিনীর কালু। তিনি ওই রাতেই গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠান।
পরে সোমবার নিহত হানিফের ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জেএন/পিআর