রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, বন্দরের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও নৌচলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে মালামাল লোড করার ৭২ ঘন্টার মধ্যে লাইটার জাহাজগুলোকে বন্দর সীমানা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে রমজানে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা ও বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) হতে পণ্য বোঝাই করার পর লাইটার জাহাজগুলো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বন্দর সীমানার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন অবস্থান করে।
এতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা রাষ্ট্র ও জনস্বার্থ বিরোধী। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজের নিরবচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য বন্দর সীমানা সবসময় প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখা জরুরী।
লাইটার জাহাজগুলোর বন্দর সীমানায় অনিরাপদ অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দর আইন ও আইএসপিএস কোডের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বন্দরকে কোন অবস্থাতেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বড় জাহাজ থেকে পণ্যবোঝাই করে লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্দর সীমানা ত্যাগ করতে হবে।’
নির্দেশ অমান্য করলে অভিযুক্ত জাহাজের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর আইন ও আইএসপিএস কোড অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় বন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৫ মিলিয়ন টিইইউএস কার্গো হ্যান্ডলিং করতে হবে।
এজন্য সিস্টেমে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বন্দরের ভেতরে জায়গা বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের ১৯টা বেসরকারি ডিপো আছে। এগুলোকে আরও কার্যকর করার বিষয়ে কাজ চলছে। ১২০টি রেফার কনটেইনার ৯ মাসের বেশি সময় পড়ে ছিল। ১০ হাজার পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামের জন্য পড়ে আছে।
আইনি জটিলতার কারণে নিলামে তোলা যায় নি। এনবিআর উদ্যোগ নিয়েছে। জটিলতা সমাধান করে দ্রুত নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। এজন্য এনবিআর ১০০ জন লোক নিয়োগ দিয়েছে।
পাশাপাশি বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ চলামান। সবার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও এগিয়ে যাবে। আমরা চাই আমদানি-রপ্তানি সহজ হোক, ব্যবসাবান্ধব হোক, প্রতিযোগিতা বাড়ুক।’
এ সময় বন্দরের সার্বিক সুব্যবস্থাপনা বজায় রেখে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর