নতুন করে ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে ১০টি কলেজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে রোববার (১২ আগস্ট) এই আদেশ জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা-২০১৮ এর আলোকে জেলা ও উপজেলাধীন ২৭১টি কলেজ ৮ আগস্ট হতে সরকারি করা হলো।’ সরকারি কলেজ নেই এমন উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণের আওতায় ২৭১টি কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯৮টিতে।
সরকারিকরণের এ তালিকায় চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার চুনতি মহিলা কলেজ, সীতাকুন্ড মহিলা কলেজ, আনোয়ারা কলেজ, হাটহাজারী কলেজ, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ, রাউজান কলেজ, ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বাঁশখালীর আলাওল ডিগ্রী কলেজ, মিরসরাই নিজামপুর কলেজ ও রাঙ্গুনিয়া কলেজ।
সরকারি হওয়া কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জয়নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কলেজ সরকারিকরণের জন্য আন্দোলন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবী মেনে নেওয়ায় আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণকৃত বিধিমালা ২০১৮ এর আওতায় এসব কলেজের শিক্ষকদের সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির সুযোগ রাখা নিয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ও সরকারি হতে যাওয়া কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকলে বেসরকারি কলেজের যে কোনো শিক্ষক শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে পিএসসির অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। পিএসসির সুপারিশ পেলে তাকে শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আর ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা বিভিন্ন সরকারি কলেজ ও দফতরে বদলি হতে পারবেন। তবে সরকারি হতে যাওয়া কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকরা নন-ক্যাডার হিসেবে নিজ নিজ পদে নিয়োগ পাবেন। তাদের চাকরি আর বদলিযোগ্য হবে না।
জয়নিউজ/আরসি