ব্রাজিলের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে নেইমারের সান্তোস।
অন্যদিকে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মেসিকে ছাড়াই শার্লটের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামি।
মেসি ও নেইমার দুই বন্ধু তাঁরা। খেলেন আলাদা দলে, থাকেনও এখন দুটি আলাদা মহাদেশে। কিন্তু আজ একটা জায়গায় মিলে গেলেন।
নিজ নিজ দলের ম্যাচে দুজনের ঠাঁই হয়েছিল বেঞ্চে। যদিও ম্যাচ শেষে অভিজ্ঞতা ভিন্ন। লিওনেল মেসি বেঞ্চে বসে ইন্টার মায়ামির জয় দেখলেও নেইমার দেখেছেন সান্তোসের বিদায়।
মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামি আজ মাঠে নেমেছিল শার্লটের বিপক্ষে। আগের দুই ম্যাচে স্কোয়াডের বাইরে থাকা মেসি এ ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরলেও ছিলেন বেঞ্চে।
মেসিকে বেঞ্চে দেখে নিশ্চয় আশাবাদী হয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা। কোনো এক পর্যায়ে হয়তো মাঠে নামবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
এর মধ্যে ৩৬ মিনিটে গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে গেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মায়ামি।
তখন অনেকেরই আশা ছিল দলের ত্রাতা হিসেবে মেসিকে মাঠে দেখার। কিন্তু ৯০ মিনিট অপেক্ষায় রেখেও মাঠে নামেননি মেসি।
কিন্তু তাতে অবশ্য বড় কোনো বিপদ হয়নি। ১০ জনের মায়ামিই ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে শার্লটকে। মায়ামির হয়ে ৪৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন তায়েদো আলেন্দে।
এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকল মায়ামি। ৩ ম্যাচে ২ জয় আর ১ ড্রয়ে মায়ামির পয়েন্ট ৭। আর শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়া জিতেছে ৩ ম্যাচের ৩টিতেই। তাদের পয়েন্ট ৩ ম্যাচে ৯।
অন্যদিকে ব্রাজিলের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে নেইমারের সান্তোস। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জয়ে পাঁচ বছর পর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে করিন্থিয়ানস।
টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ ফুটবল খেলা নেইমারও এদিন ছিলেন বেঞ্চে। আগের ম্যাচে চোটে পড়ার কারণে এ ম্যাচে নেইমারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়নি সান্তোস।
কিন্তু দলের সেরা তারকাকে ছাড়া শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকিট কাটতে পারেনি ক্লাবটি। বেঞ্চে বসে দলের বিদায় দেখতে হয় নেইমারকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দল একবার করে জালের দেখা পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রিগো গারোর অসাধারণ গোল পার্থক্য গড়ে দেয়। এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সান্তোসের দুই লাল কার্ড।
৮১ মিনিটে জে ইভালদো, এবং ম্যাচের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে এসকোবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ৯ জনের দলে পরিণত হয় সান্তোস। নেইমারকে ছাড়াই খেলতে নামা দলটি দুইজন কম নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও গোলের দেখা পায়নি সান্তোস।
পালমেইরাস ও সাও পাওলোর ম্যাচের পর করিন্থিয়ানসের ফাইনালের প্রতিপক্ষ জানা যাবে। আগামী ১৬ ও ২৭ মার্চ দুই লেগে অনুষ্ঠিত হবে পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
জেএন/পিআর