বোয়ালখালীর জ্বালাকুমারী মাতৃমন্দিরের দুদিনব্যাপী মহোৎসব শুরু বৃহস্পতিবার

ধর্ম ডেস্ক :

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোল পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবিয়াল রমেশ শীলের বাড়ীর সার্বজনীন শ্রী শ্রী জ্বালাকুমারী মাতৃমন্দিরের মহোৎসব শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার।

- Advertisement -

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর সদরের ৪ নং পূর্ব গোমদন্ডী ওয়ার্ডস্থ জ্বালাকুমারী মাতৃমন্দিরে দুদিনব্যাপী উৎসবে থাকছে ধর্মীয় আলোচনা, মহতী ধর্মসভা, শ্রীমদ্ভগবদ গীতাপাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মহোৎসবসহ নানান আয়োজন। মহতী ধর্মীয় এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে ১৪ মার্চ শুক্রবার।

- Advertisement -google news follower

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী আয়োজনের শুভ সূচনা হবে। এদিন সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের আধ্যাত্মিক অলৌকিক সাধনার স্থান প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী গোমদন্ডী যোগাশ্রম এর কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ।

সাড়ে ৭টার দিকে শ্রী শ্রী জ্বালাকুমারী মাতৃমন্দির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উৎযাপন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবু বিষ্ণু পদ শীলের সভাপতিত্বে মহতী ধর্মসভা শুরু হবে। এতে প্রধান ধর্মীয় বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রী শ্রী রাধাবিনোদ কেন্দ্রীয় ও মাতৃপরিষদের সভাপতি বিভুতি শীল (বিভু)।

- Advertisement -islamibank

একইদিন রাতে কবিয়াল রমেশ শীল শিল্পী গোষ্ঠী ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং টিভি ও বেতার শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সবশেষে রাত ১০টার দিকে আনন্দ বাজারে অন্নপ্রসাদ আস্বাদদের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রক্ষমুহুর্তে মঙ্গল গুরু বন্দনা ও নগর কীর্ত্তনের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী আয়োজনের শেষদিনের মহতী ধর্মীয় উৎসব শুরু হবে। এরপর শুরু হবে দোলপূজা। মহতী এ উৎসবে শ্রীমদ্ভগবদ্‌ গীতাপাঠ করবেন পটিয়া করল মোহনানন্দ সেবাশ্রমের শ্রীমৎ স্বামী নরেশ্বরানন্দ অববুদ্ধ মহারাজ। বিভিন্ন মঠ ও মন্দির থেকে আগত ব্রহ্মচারীবৃন্দগণ গীতাপাঠে সহযোগীতা করবেন। দুপুরে আনন্দ বাজারে অন্নপ্রসাদ আস্বাদনের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

দুদিনব্যাপী মহতী অনুষ্ঠানে সকল সুধী ভক্তস্বজন স্বপরিজন ও সবান্ধব উপস্থিত থেকে আনন্দচিত্তে প্রেমা আলিঙ্গনের ক্ষুদ্র প্রয়াসকে সার্বিক সহযোগিতা করে সফল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণের দোল পূর্ণিমা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি সাধন শীল, সাধারণ সম্পাদক অন্তর শীল ও অর্থ সম্পাদক রুপক শীল।

জানা গেছে, আনুমানিক ৫ হাজার ৫শ বছর আগে ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমায় ব্রজবাসীগণ তাদের প্রাণপ্রিয় পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারাণীকে বৃন্দাবনে একত্রে পেয়ে সীমাহীন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে একটি উৎসবের আয়োজন করেন।

সেই উৎসবে তারা রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণকে ফুলের দোলনাতে বসিয়ে মহানন্দে দোল দেন এবং সেই আনন্দ বহুগুনে বর্ধিত হলে তারা রাধা-কৃষ্ণের চরণে বিভিন্ন বর্ণের আবির ঢেলে প্রেমানন্দের বহিঃপ্রকাশ করেন।

সে থেকে দোল পূর্ণিমা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অতি আনন্দের উৎসব। এই উৎসবটি স্থানভেদে হোলি উৎসব, দোল পূর্ণিমা উৎসব বা গৌর পূণির্মা উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

তবে হোলি ও গৌর পূর্ণিমা একইদিনে পালিত হলেও উৎসব দুটি মূলত আলাদা। বর্তমানে হোলি উৎসবটি সারা পৃথিবীজুড়েই সনাতনীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে ফল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রঙ্গের উৎসবকে ধারন করে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জালাকুমারী মাতৃ মন্দির প্রাঙ্গণে দুদিনব্যাপী ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন শ্রীকৃষ্ণের দোল পূর্ণিমা উৎসব উদযাপন কমিটি।

দুই দিন ব্যাপী মহতী অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতা করে আসছেন জালাকুমারী মাতৃ মন্দির পরিচালনা পর্ষদ, কবিয়াল রমেশ শীল শিল্পী গোষ্ঠী পরিচালনা পর্ষদ, উদয়ন সংঘ দূর্গা মন্দির পরিচালনা পর্ষদ, শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির পরিচালনা পর্ষদ, শ্রী শ্রী জগদীশ্বরী কালীবাড়ী পরিচালনা পর্ষদ, শ্রী শ্রী জগদানন্দ মিশন পরিচালনা পর্ষদ, যুব একতা সংঘ, উদয়ন উন্নয়ন সংঘ, পূর্ব গোমদন্ডী বণিক পাড়া একতা ক্লাব, শ্রী শ্রী গোমদন্ডী গুরু গীতা সংঘ, পূর্ব গোমদন্ডী প্রগতি সংঘ, রমেশ স্মৃতি সংসদ, পল্লী মঙ্গল যুবক সমিতি ও দাশ পাড়া মায়ের উন্নয়ন সংঘ।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM