সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও শনিবার (১৫ মার্চ) পালিত হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ১৪ লাখ শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এরমধ্যে ৬–১১ মাস বয়সীদের একটি করে নীল রঙের (এক লাখ ইউনিটের) এবং ১২–৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের (দুই লাখ ইউনিটের) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এ ক্যাম্পেইন। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন তৌহিদুল ইসলাম, এমওডিসি ডা. নুরুল হায়দার, স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।
সিভিল সার্জন অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ছয় মাসের কম ও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং নিউমোনিয়া-ডায়রিয়াসহ গুরুতর অসুস্থ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুদের ক্যাপসুল না খাওয়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় ৬–৫৯ মাস বয়সী সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে এবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এরমধ্যে ৬–১১ মাস বয়সী এক লাখ ৮২ হাজার ৭২৭ জন ও ১২–৫৯ মাস বয়সী ১২ লাখ ২ হাজার ৯৮৯ জন শিশু রয়েছে।
মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬–১১ মাস বয়সী ৯ হাজার এবং ১২–৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা চার লাখ ৭০ হাজার জন।
অন্যদিকে জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া জানান, জেলার ১৭টি স্থায়ী ও চার হাজার ৮০০টি অস্থায়ী কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি বলেন, আগামী ১৫ মার্চ পাঁচ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের (২ লাখ ইউনিট) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে।
জেএন/পিআর