চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম বলেছেন, প্রতি বছর রমজানে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের যৌথ বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকায় পবিত্র এই রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মহানগরের বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন ৪টি করে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পালিয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা ৪’শটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলো পাইকারী ও খুচরা বাজারে একযোগে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
রোববার (১৬ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদের কেনা-কাটা, বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা ও ঈদযাত্র নির্বিঘ্ন করতে সড়কে যানজট নিরসনসহ সার্বিক ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও সময়োপযোগী করা হবে। যে কোন ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুুত। জেলা ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সার্বিক উন্নয়নে আমরা সকলে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করবো। সরকারী প্রত্যেক দপ্তরকে সংস্কারের আওতায় এনে মেধা, দক্ষতা ও সততা দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো সুনিশ্চিত করবো, যাতে সন্তোষজনক হয়। এ জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
যাকাত প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, যাকাত আদায়ে চট্টগ্রাম জেলা এগিয়ে আছে। একজন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী যাকাত ফান্ডে ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৬০ হাজার, অন্যান্যরাও এগিয়ে আসছে। পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের আগে এই রমজানেই নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করেই খোলা জায়গায় যাকাত প্রদান করা হবে। আগামী সমন্বয় সভার পূর্বে জেলা-উপজেলার প্রত্যেক মডেল মসজিদ চালুকরণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দিদারুল আলম, জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুচ ছোবহান, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ, সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বাবুল চন্দ্র বণিক, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মোঃ আবু সোলায়মান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী (ফটিকছড়ি), মোঃ ফখরুল ইসলাম (সীতাকুন্ড), মাহফুজা জেরিন (মিরসরাই), এবিএম মশিউজ্জামান (হাটহাজারী), মোঃ রাজীব হোসেন (চন্দনাইশ), ইনামুল হাছান (লোহাগাড়া), মাসুমা জান্নাত (কর্ণফুলি), তাহমিনা আকতার (আনোয়ারা), জিসান বিন মাজেদ (রাউজান), মাহমুদুল হাসান (রাঙ্গুনিয়া), রিগ্যান চাকমা (সন্ধীপ), মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (বোয়ালখালী), জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম, বিআরডিবি’র উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোছলেহ উদ্দিন, বিএডিসি’র সহকারী পরিচালক থঅংপ্রু মারমা, জেলা সমবায় কর্মকর্তা গাজী মুঃ ওমর ফারুক চৌধুরী, সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুন্তী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, কেজিডিসিএল’র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ কাওছার, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিতারাই ফেরদৌস প্রমূখ।
জেলার সরকারী বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবৃন্দ সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর