বাড়বকুণ্ডের মাদ্রাসাশিক্ষক ইমরান খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল ৫ মাদকসেবী। নিহত শিক্ষক ইমরানের ভাই ফরহাদের সাথে ছিল তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ। ফরহাদকে মারধর করতে গিয়ে না পেয়ে ভাই ইমরানকে খুন করে তারা।
ইমরান খুনের ঘটনায় আটক রিফাত ইসলাম (২০) শনিবার ( ১২ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) জিহান সানজিদার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক স্বপন বনিক, উপ-পরিদর্শক টিবলু কুমার মজুমদার ও আবদুল আলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রিফাতকে বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে আটক করে। রিফাত ওই ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ বাজারতলী এলাকার আলী হায়দারের ছেলে।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে রিফাত জানান, তার পরিচিত ৪ মাদকসেবীর সাথে নিহত শিক্ষকের ভাই ফরহাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ। এই বিরোধের জের ধরে তারা চারজন ফরহাদকে মারধর করার পরিকল্পনা করে। সে হিসাবে সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তারা ঘরের সামনে গিয়ে ফরহাদকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এসময় ফরহাদ ঘরে না থাকায় ফরহাদের ভাই শিক্ষক ইমরান দরজা খুলে বাইরে এসে দেখতে পায় মুখোশধারীরা তার বাবার গলায় ছুরি বসিয়ে রেখেছে। এসময় ইমরান তাদের একজনকে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে। এরপর অন্য একজন গিয়ে ইমরানের পেটে ছুরিকাঘাত করে।
সীতাকুণ্ড থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা বলেন, শিক্ষক খুনের ঘটনায় আটক রিফাত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনায় জড়িত ৫ জনের একজন। তারা ফরহাদকে মারধর করতে এসে না পেয়ে তার ভাই শিক্ষক ইমরানকে ছুরিকাঘাত করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমরানের মৃত্যু হয়।
ঘটনায় জড়িত চারজনের নাম পুলিশ জানতে পারলেও মূল ঘটনা উদঘাটনের জন্য তাদের নাম জানায়নি।
নিহত শিক্ষক ইমরানের ভাই ফরহাদ বলেন, আটক রিফাত এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। রিফাতের সঙ্গে তার (ফরহাদ) কোনো বিরোধ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ড উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বাড়বকুণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রেলওয়ে কলোনি এলাকায় সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা খুন করে ইমরান হোসেন রিয়াদকে (২৮)। তিনি সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় ।