আগের দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল দলটি। সেই সমালোচনার জবাব দিতে ও সিরিজ বাঁচাতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না পাকিস্তানের। অবস্থা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানকে ২০৫ রানের কঠিন টার্গেট ছুড়ে দিলে।
তবে এদিন গল্পটা নিজের মনের মতো করে রাঙিয়েছেন আগের দুই ম্যাচেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরা তরুণ হাসান নাওয়াজ। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা পাকিস্তানের এই তরুণ। দলকে জিতিয়েছেন চার ওভার ও ৯ উইকেট হাতে রেখে। যেখানে তার একারই অবদান ৪৫ বলে ১০৫। যেখানে রয়েছে ৭টি ছক্কা ও ১০টি চার।
অথচ, আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরায় এই ম্যাচে তিনি সুযোগ পাবেন কিনা সেটা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। এরপরও তার ওপর আস্থা রেখেছে দল। যার প্রমাণটা এবার তিনি দিলেন বড় পরিসরে। দলকে জিতালেন প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে।
এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন কিউই ব্যাটার মার্ক চাপম্যানও। ৪৪ বলে ৯৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। বাকিরা খুব বেশি উইকেটে টিকতে না পারলেও দ্রুত ব্যাট চালিয়েছেন। তাতে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হলেও নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২০৪।
এমন লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতবে পাকিস্তান? কে ভেবেছে। সব কিছু মিথ্যা প্রমাণ করে এদিন ব্যাট হাতে তাণ্ডব শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও তরুণ নাওয়াজ। হারিস ২০ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরলে অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে নিয়ে দলকে টেনে তুলেন নাওয়াজ। ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন সালমানও। তাতে আর কোনো বিপদ তো হয়ইনি বরং নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচটা পাকিস্তান হারিয়েছে হেসেখেলে। যেখানে সালমানের সংগ্রহ ৩১ বলে ৫১।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধান। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২৩ ও ২৬ মার্চ।
জেএন/এমআর