চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান-এটা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কখনও ম্লান হবে না। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সাহস, বিশ্বাস ও চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।
আজ ২৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করি। ওইদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নীল নকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর গণহত্য চালিয়ে ছিলো। সে সময় সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এটা চট্টগ্রামের জন্য গর্বের। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা এখনে উপস্থিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ থেকে তারা সে ইতিহাস শুনেছে। এতে করে তারা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এ ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে পারবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামান। সভায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দরা গণহত্যা দিবসের স্মৃতিচারণ করেন।
জেএন/এমআর