মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ২৬ মার্চ বুধবার বিকেল ৪টায় সার্কিট হাউজে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি-চান্দগাঁও) ইউসুফ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ নুরুল্লাহ নুরী ও জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু।
বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিগ্রেডিয়ার শহীদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহানগর ও জেলা পর্যায়ের ৪০৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় চট্টগ্রামের অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের পদস্থা কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করেছিল সবাই সময়ের প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কারো কণ্ঠকে রোধ করে কিংবা একটি কথাকে সবার উপর চাপিয়ে দেয়া বা কারো মতামতকে অগ্রাহ্য করলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হবে। সবার কথা শুনতে হবে, যার যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না তাকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় সাহসকে মনে সঞ্চার করে আগামীর সুন্দর, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখান থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনেই হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠে।
জেএন/এমআর