জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি এনসিপির বেশিকিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা হয়। চট্টগ্রামেও বৈষম্যবিরোধীদের কোন্দল নিয়ে ছিল প্রকাশ্যে। এর জের ধরে অনেকেই এনসিপির ইফতার মাহফিলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করেছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুশৃঙ্খল ছিল চট্টগ্রামের ইফতার মাহফিল।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজের সঞ্চালনায় উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
এ সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এনসিপি নতুন পলিটিক্যাল কালচারকে ধারণ করতে পারবে। এনসিপি নারীদের সামনে নিয়ে এসেছে যেটা নয়া রাজনীতির বন্দোবস্তেরই অংশ। এনসিপি নারীদের ইনক্লুসিভিটি নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর চার্জশিট থেকে অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এইসব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমদুর রহমানের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে তার বিচারের দাবি জানিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব স্বৈরচারের দোসর মুক্ত করতে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কার কাঠামোর যে পরিবর্তন তার বিরোধিতা করার অর্থই ফ্যাসিবাদ কাঠামোকে টিকিয়ে রাখা। ৭২ এর সংবিধানের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলো যে ফ্যাটিশ, তা দিয়ে জনবান্ধব রাষ্ট্র তৈরি করা সম্ভব না। গণঅভ্যুত্থান চলমান। দেশের মানুষ বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভুলভাবে বোঝাপড়া করার চেষ্টা করলে তা কখনো মেনে নেবে না। রাষ্ট্রে সংস্কারের জন্যে আবার প্রাণ দিতে হয় তাহলে আমরা আবার রাস্তায় নেমে আসব। তবুও সংস্কার এনেই ছাড়ব।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ বলেন, গণহত্যার সাথে জড়িতদের ঠিকঠাক ভাবে বিচার না করলে রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার কায়েম হবে না। ৭১ এর পরবর্তী সময়ে আমরা যুদ্ধাপরাধ প্রশ্নটাকে ঠিকঠাকভাবে মোকাবেলা করতে না পারায় ১৪তে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়। তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, যদি ২৪ এর আওয়ামী লীগের বিচার আমরা করতে না পারি, নিকট ভবিষ্যতে আরও একটা গণজাগরণ মঞ্চ হবে না তার নিশ্চয়তা কি? আওয়ামী বিচার না করা মানে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য পরিস্থিতি জিইয়ে রাখা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্যে আওয়ামীলীগের বিচার করতে হবে।
জুলাইয়ের শহীদ উমরের মা বলেন, আমাদের ছেলেদের হত্যার বিচার এখনো হয়নি। তাদের ক্ষমতার জন্যে আমার হীরের টুকরার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আমাদের সন্তানের বিচার না করে আমরা নির্বাচন চাই না।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক মোহাম্মদ এরফানুল হক, রাফসান জামী।
জেএন/এমআর