শেষ ওভারে জিততে রংপুরের প্রয়োজন ৯ রান। ব্যাটিংয়ে রুশো-ফরহাদ আর বোলিংয়ে ফিজ। প্রথম বলে রুশো সিঙ্গেল রান নেন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ফরহাদ রেজা ফিজের অফ কাটার বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। পঞ্চম বলে লেগ বাইয়ে এক রান আসলে শেষ বলে দরকার হয় ৭ রান। রুশো নিতে পারেন এক রান। ফলে ৫ রানের জয় পায় মিরাজের রাজশাহী। যেন মুস্তাফিজের সেই পুরনো ঝলক!
রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিপিএলের ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স এবং রাজশাহী কিংস।
দিনের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী তোলে ১৩৫ রান। জবাবে, ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের মাথায় থেমে যায় রাইডার্সদের ইনিংস।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মুমিনুল হক এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। নিজের প্রথম বলেই বিদায় নেন মিরাজ। আরেক ওপেনার মুমিনুল ১৬ বলে করেন ১৪ রান। তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার ১৩ বলে করেন ১৮ রান। পাকিস্তানি সিনিয়র তারকা মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। লউরি ইভান্স ২, রায়ান টেন ডয়েসকাট ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ৩৬ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪২ রান। ইসুরু উদানা ৫ এবং আরাফাত সানি ১ রানে বিদায় নেন।
রংপুরের দলপতি মাশরাফি ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। ফরহাদ রেজা ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সোহাগ গাজী ৩ ওভারে ২৫ রানে নেন একটি উইকেট। নাহিদুল ইসলাম, নাজমুল অপু, বেনি হাওয়েল কোনো উইকেট পাননি। শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট।
১৩৬ রানের টার্গেটে রংপুরের ওপেনিংয়ে নামেন ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিস গেইল এবং রংপুরের দলপতি মাশরাফি। রাজশাহীর অধিনায়কের পথেই হাটলেন রাইডার্স অধিনায়ক(০) । তবে গেইল দুই চার আর দুই ছক্কায় ১৪ বলে করেন ২৩ রান। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ৩১ বলে দুই ছক্কায় করেন ৩০ রান। মাঝে রবি বোপারা ১, বেনি হাওয়েল ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। নাহিদুল ইসলাম ১২ বলে করেন ১৬ রান। রুশো ৪৬ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। রংপুরের ইনিংস থামে ১২৯ রানের।
মোহাম্মদ হাফিজ ৪ ওভারে ২২ রানের নেন দুই উইকেট। কামরুল ইসলাম রাব্বি ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ইসুরু উদানা ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে কোনো উইকেট না পেলেও শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে হয়ে গেছে জংয়র নায়ক।