ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে জাপানকে সবাই কমবেশি চেনে। দেশটির ইতিহাসে গত ১ হাজার ৪০০ বছরে নানকাই ট্রাফে প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছরে ‘মেগাভূমিকম্প’ হয়েছে। সর্বশেষ মেগাভূমিকম্পটি হয়েছিলো ১৯৪৬ সালে।
এদিকে জাপানে ‘মেগাভূমিকম্প’ ও পরবর্তী সুনামির (সামুদ্রিক ঢেউ) ফলে ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ও প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ মূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে দেশটির সরকার সোমবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এর আগে জাপানের দক্ষিণে নানকাই ট্রাফে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাব্য পরিণতির বিষয়ে ২০১৪ সালে একটি অনুমান প্রকাশ করা হয়েছিলো।
নানকাই ট্রাফ হলো ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সমুদ্রতলীয় খাত, যা টোকিওর পশ্চিমে শিজুওকা থেকে কিউশু দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
এটি সেই অঞ্চল, যেখানে ফিলিপাইন সাগরের টেকটোনিক প্লেট ধীরে ধীরে জাপানের ভূখণ্ডীয় প্লেটের নিচে সরে যাচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ায় প্লেটগুলো আটকে গিয়ে বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়, যা মুক্তি পেলে ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে।
জাপানের ক্যাবিনেট অফিসের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদল জানিয়েছে, সুনামিতে মৃত্যু হতে পারে ২ লাখ ১৫ হাজার মানুষের। আর ৭৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে ভবন ধসের কারণে ও ৯ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অগ্নিকাণ্ডে।
যদিও সামগ্রিকভাবে সংখ্যাটি ২০১৪ সালের প্রকাশিত অনুমিত সংখ্যার চেয়ে কম। ওই প্রতিবেদনে ৩ লাখ ২৩ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো।
এদিকে এই প্রতিবেদন এবং সর্বোপরি পরিস্থিতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া অত্যন্ত কঠিন।
যদিও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির একটি সরকারি প্যানেল জানিয়েছিলো, জাপানে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ‘মেগাভূমিকম্প’ হওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই বেড়েছে।
এ ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বর্তমানে ৭৫ থেকে ৮২ শতাংশ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
জেএন/পিআর