চট্টগ্রাম নগরীর চন্দনপুরায় ব্রাশ ফায়ারে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার ২ আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার এর আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. মফিজ উদ্দীন বলেন, জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি মো. বেলাল ও মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে প্রত্যেককে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ ও মো. মানিক নামে দুজন নিহত হয়।
এ ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল ভোরে বেলালকে নগরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে এবং মানিককে ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেলালকে সিসিটিভি ফুটেজে গুলি চালাতে দেখা গেছে বলে তথ্য দেয় পুলিশ।
এদিকে নগরের চান্দগাঁও থানার তাহসিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানা-সংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এর আগে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাজ্জাদকে ১৪ দিন হেফাজতে রেখেও অপরাধের উল্লেখযোগ্য কোন স্বীকারোক্তি আদায় করতে পারেনি পুলিশ।
ফলে ঈদের ছুটি শেষে আদালত খুললে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দশদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন বলেন, সাজ্জাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ট্রিপল মার্ডারসহ অন্তত ১৬ মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গত ১৫ মার্চ রাতে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা সিটি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৬ মার্চ হাজির করলে চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাজ্জাদকে সাত দিন করে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
গত ২৯ মার্চ রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
জেএন/পিআর