ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টে পিলারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৭

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ সাত জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৩০ যাত্রী। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা এলাকায় শরিফ জুট মিলের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -

দুর্ঘটনাকবলিত ফারাবী পরিবহনের বাসটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুর আসছিল। সময় বাঁচাতে দ্রুতগতির বাসটি ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খায়।

- Advertisement -google news follower

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদ নগর ইউনিয়নের শেখরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জোয়ার সরদার (৬৫) ও তার ছেলে ইমান সরদার (৩৫), নগরকান্দার কাঠিয়া বড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪), ফরিদপুর সদরের চর চাঁদপুর গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতি সরকার (৪০), চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীটেক গ্রামের বাসিন্দা খালেক চৌধুরীর ছেলে আলম চৌধুরী (৪০), ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা লতিফ ব্যাপারীর স্ত্রী ফজিরন নেসা (৬৫) এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আজিবর উদ্দিন (৪৩)।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসের আহত যাত্রী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাঁধন সরকার (২৫) বলেন, বাসটি তালমার মহিলা রোড থেকে ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বারবার বলার পরও বাসচালক কারও কথা শোনেননি।

- Advertisement -islamibank

নগরকান্দা উপজেলার আটকাহনিয়া গ্রাম থেকে বাসে ওঠা মো. আলামিন মোল্ল্যা তার স্ত্রী মাহামুদা বেগম ফরিদপুর শহরে আসছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বলেন, যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন বাসটি ৭০-৮০ কি.মি. বেগে চলছিল। অনেক যাত্রীই গতি কমাতে বলছিল চালককে। এর মধ্যেই চালক অতিরিক্ত গতিতে ওভারটেক করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা খায়।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বাসটি পেছনের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আরেকটি বাসকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের বেশি ছিল। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে প্রশাসনের উদ্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরবর্তিতে বিআরটিএর মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়া হবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM