চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)র ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৬ টার সময় খাগড়াছড়ি থেকে ফেরার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে।
অপহৃতরা হয়েছেন-চবি’র আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)র সদস্য রিশান চাকমা, চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণী বিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এই ঘটনায় ইউপিডিএফকে (প্রসীত) দায়ী করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা বলেন, রিশান আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য।
তারা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল।
কিন্ত বাসে টিকেট না পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিল।
সকাল ৭ টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্ত গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। ইউপিডিএফ (প্রসীত) এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, অপহরণের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি আমরা করি না।
আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোন মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
জেএন/পিআর