খাগড়াছড়িতে অস্ত্রের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীসহ অপহরণের ঘটনায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করেছে সেনাবাহিনী। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা ও মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। তারা সকলেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণের অভিযোগ ওঠে।
অপহরণের ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইডেট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। তবে ইউপিডিএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জানা গেছে, বিজু উৎসব পালন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে কুকিছড়া থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল এলাকায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অটোরিকশার চালকসহ ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে যায়।
এদিকে দীর্ঘ সময়ের পরও অপহৃতরা উদ্ধার না হওয়ায় তাদের পরিবার-পরিজন চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী দেওয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের মেয়েসহ অপহৃতদের মুক্তি চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘খাগড়াছড়িতে আমার মেয়ে দিব্যি চাকমা তার সহপাঠী সহ বিজুতে গেলে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছে।
প্লিজ কারোর মায়ের বুক খালি না করে দোষ থাকলে, অন্যায় করলে উপযুক্ত শাস্তি দিন তবু্ও সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারোর বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি ফিরিয়ে দিন আমাদের সন্তান দেন। ভগবান খুব কষ্ট হচ্ছে, একটার পর একটা বিপদ।’
এ নিয়ে গণমাধ্যমে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ‘অপহৃতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। তাদের উদ্ধারে প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যদিও এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।’
জেএন/পিআর