ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি পাশের মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট বিতর্কের অবসান ঘটবে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি)। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের প্রশ্নে ভোটাভুটি হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সতর্ক করে বলেছেন, জাতির স্বার্থে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত ব্রিটিশ এমপিদের। চুক্তিটি যদি তারা (এমপিরা) প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদের ঝুঁকি তৈরি হবে। ওই পরিস্থিতিতে ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়তো না-ও হতে পারে।
গত ১১ ডিসেম্বর এই ভোট হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু চুক্তিটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী মে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করেন। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা এখন পর্যন্ত ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল ও নিজের দলের এমপিদের বিরোধিতা দমন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিরোধী দলগুলো এই চুক্তির বিরোধী। আর সরকারি দলের প্রায় ১০০ এমপি চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন বলে ধারণা।
সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হলে প্রধানমন্ত্রী মে তিনদিনের মধ্যে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপনের সুযোগ পাবেন। সেই প্রস্তাবও যদি প্রত্যাখ্যাত হয়, তবে চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হবে যুক্তরাজ্যকে। অথবা সংসদ চাইলে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা বাড়িয়ে নিতে পারে।
মধ্যবর্তী নির্বাচন বা পুনরায় গণভোটের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ।