বাংলাদেশি-আমেরিকান ও প্রথম মুসলিম সিনেটরকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেট। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সিনেটর শেখ রাহমানের শপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
জর্জিয়ার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে তিনি শুধু প্রথম মুসলিম সিনেটরই নন, একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশিও।
সকালে যখন বাইবেল নিয়ে অন্য সিনেটররা শপথ নেন, তখন শেখ রাহমানও শপথ নেন। পরে নিজ ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী কোরআন নিয়ে শপথ নেন জর্জিয়ার প্রথম এই মুসলিম সিনেটর।
বাংলাদেশের একটি ধনী পরিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান শেখ রাহমান। সেখানে কলেজের ব্যয় মেটাতে একটি রেস্টুরেন্টে ডিশ ওয়াশারের কাজ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রমের বিভিন্ন কাজও করেছেন। একপর্যায়ে তিনি ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়া থেকে ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর সাফল্যের গল্প বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটিতে প্রতিধ্বনিত বা অনুরণিত হয়। এই বাংলাদেশি-আমেরিকানরা যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান কমিউনিটিগুলোর মধ্যে একটি। তাদের অনেকের জন্যই মার্কিন সিনেটর হিসেবে শেখ রাহমানের শপথ অনুষ্ঠান একটি গর্বের মুহূর্ত।
গত বছরের গ্রীষ্মে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দলীয় প্রাইমারিতে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে সিনেটের জন্য নিজের অবস্থান সংহত করেন শেখ রাহমান। এই দলীয় প্রাইমারির মাধ্যমে নিজ নিজ দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা। কিন্তু নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে আসনটিতে রিপাবলিকান পার্টির কোনো প্রার্থী না থাকায় সিনেটে তাঁর অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশি-আমেরিকানরা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। তবে জর্জিয়ার সিনেটে শেখ রাহমানের প্রবেশ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ রাজ্যে দাসত্বের ইতিহাস রয়েছে। রয়েছে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস।
শেখ রাহমান জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর সুউচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে। এদেশের মানুষের জন্য তাঁর বার্তা, ‘গণতন্ত্রের স্পিরিটকে সতেজ রাখুন।’