চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১৫ উপজেলায় নতুন করে ভোটার হয়েছেন তিন লাখ ৪ হাজার ২৮৩ জন ভোটার। এরমধ্যে নগরীর ৬ থানা এলাকায় নতুন ভোটার হয়েছেন ৫২ হাজার। জেলার ১৫ উপজেলায় নতুন ভোটার হয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৮৩ জন।
চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস থেকে গতকাল রবিবার প্রকাশিত হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকায় এ তথ্য জানা যায়।
প্রকাশিত ভোটার তালিকায় দেখা যায়, প্রায় ৯৪ হাজার মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২৫ হাজার ভোটার তাদের পূর্বের ভোট প্রদানের স্থান পরিবর্তন করেছেন।
এছাড়াও ১৮ বছরের কম বয়সী ৭৭ হাজার ৬৭০ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গত ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হয়। একই সঙ্গে মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে তালিকায় নতুন করে যুক্ত আরও তিন লক্ষাধিক ভোটারের নাম যুক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে নগরে ৫২ হাজার এবং জেলায় ২ লাখ ৫২ হাজার ২৮৩ জন নতুন ভোটার হয়েছেন। নগরের ডবলমুরিং থানায় ১২ হাজার ৯১৪ জন, পাঁচলাইশ থানায় ৯ হাজার ৬৫৫ জন, চান্দগাঁও থানায় ৯ হাজার ১১৫ জন, পাহাড়তলী থানায় ৭ হাজার ৭২২ জন, বন্দর থানায় ৭ হাজার ১৯৪ জন এবং কোতোয়ালীতে ৫ হাজার ৪০০ জন নতুন ভোটার হয়েছেন।
তাছাড়া জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে বাঁশখালীতে নতুন ভোটার হয়েছেন ২৪ হাজার ৮২২ জন। আনোয়ারায় ২৪ হাজার ৩২৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২১ হাজার ৩৭৬ জন, লোহাগাড়ায় ২১ হাজার ২১৪ জন, সাতকানিয়ায় ১৮ হাজার ৮৩ জন, ফটিকছড়িতে ১৭ হাজার ৭৪০ জন, পটিয়ায় ১৭ হাজার ১৬ জন, সীতাকুণ্ডে ১৬ হাজার ৬২ জন, হাটহাজারীতে ১৬ হাজার ৭৪৮ জন, মিরসরাইয়ে ১৫ হাজার ৫১ জন, সন্দ্বীপে ১৩ হাজার ৭৯৬ জন, রাউজানে ১৩ হাজার ৯৭৯ জন, চন্দনাইশে ১২ হাজার ৮০৫ জন এবং বোয়ালখালীতে ১২ হাজার ১৭ জন নতুন ভোটার হয়েছেন জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়।
তবে ২০২৬ সালের মার্চের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় ভোটার দিবসে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে চলতি বছরের ২ মার্চ।
সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের পরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। তবে নির্বাচনী আইনে সংশোধন আনা হলে নতুন ভোটাররা ২০২৬ সালের আগেও ভোট দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য : ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটার ছিল ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন।
এবার সেই ভোটার তালিকা থেকে হালনাগাদে ৯৩ হাজার ৮৩৭ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর ২৪ হাজার ৭৯৯ জন ভোটার স্থান বদল করেছেন।
একই সঙ্গে ১৮ বছরের কম বয়সী ৭৭ হাজার ৬৭০ জন নাগরিকের নিবন্ধন করা হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তারা ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন।
এ বিষয়ে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ জানান, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের জন্ম তাদের নিবন্ধন করা হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
জেএন/পিআর