চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্বচ্ছল কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, “অস্বচ্ছল অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের সহায়তায় এসব শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তির একটি টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা হবে।”
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নগরীর টাইগারপাস এলাকায় অবস্থিত প্রধান নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ও গভর্নিং কমিটির যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন। সভায় তিনি আরও বলেন, “আমরা চাচ্ছি সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষার্থীরা শুধু ভালো ফলাফল করুক তা নয়, তারা যাতে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে ওঠে। এজন্য স্কুলে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কিশোরগ্যাং, মাদকাসক্তি ও ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজসেবকদের সমন্বয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
সভায় অংশগ্রহণকারী চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলী খান সাহেব সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাগমনিরাম আবদুর রশীদ সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
সভায় প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, “নগরবাসীর সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। চসিক পরিচালিত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। প্রয়োজন হলে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষাসামগ্রী সরবরাহ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।”
সভায় ম্যানেজিং ও গভর্নিং কমিটির সদস্যবৃন্দ চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদারে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, শিক্ষক সংকট নিরসনে শিক্ষকসংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াসুবিধা সম্প্রসারণে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এসব মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা গেলে শিক্ষার পরিবেশ আরও উন্নত হবে এবং শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।
সভায় মেয়র বিদ্যালয় পরিচালনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সবাইকে আহ্বান জানান। মেয়রের বক্তব্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আশাবাদের সঞ্চার হয় এবং তারা সম্মিলিতভাবে চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
জেএন/এমআর