ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সাধারণ জনতা। পরে অবশ্য তিনি মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন।
সম্প্রতি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক কটুক্তি করেন। ঘটনার পরে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হলেও পরে তা সোমবার (২১ এপ্রিল ) রাতে জানাজানি হলে পরে তা জনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়ে।
স্থানীয় আক্তার হোসেন জানান, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নবী মোহাম্মদ (সা:) নিয়ে কটুক্তি করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার কারণে আগেও প্রকাশ্যে নবী-রাসূলদের নিয়ে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। গত ক’দিন ধরে গ্রামের চায়ের দোকান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করলে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়।
তাহেরহুদা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কাজী মোখলেসুর রহমান রাসু বলেন, “মোজাম্মেল হক আগেও নবী-রাসূল কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। সম্প্রতি সে একই কাজ করায় এলাকার যুবক ছেলেরা তাকে ধরে মারধর করেছে বলে শুনেছি। পরে তাকে আটকে পুলিশে খবর দিলে পুলিশের কাছে সে মৌখিক ভাবে দায় স্বীকার করে মাফ চায়। আর কখনো এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে সে ছাড়া পেয়েছে।”
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমএ রউফ খান বলেন, “এটা কয়েকদিন আগের ঘটনা। গতকাল ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ উনাকে মারধর করে পুলিশে খবর দিলে তখন তাকে সেখান থেকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় আনা হয়। আমরা জানতে পেরেছি মোজাম্মেল হক আহলে কোরআন ওয়াল জামাত নামে একটি মতবাদে বিশ্বাসী। তিনি হাদিস মানে না। এ নিয়ে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।”
ওসি আরও বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগ মোজাম্মেল হক নবী-রাসূল কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মোজাম্মেল হক সহ গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে মোজাম্মেল হক দোষ স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেএন/এমআর