দেশের প্রভাবশালী বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউকেশনস্ লিমিটেডের ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত চিঠি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিআইসি’র ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউকেশনস্ লিমিটেডের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি তদন্ত চলছে। এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউকেশনস্ লিমিটেডের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিদেরও লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেছে সিআইসি। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও অন্যদের তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। কর গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে কয়েকজনের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং তাদের ব্যাংক লেনদেন ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বছরে আনুমানিক চার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপনী বাজারের ৮০ ভাগই দখলে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং প্রয়াত আলী যাকের পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক গ্রুপ। শুধু একটি বা দুটি নয়, অন্তত ১৭টি ভিন্ন নাম ব্যবহার করে বিগত দেড় দশকে বিজ্ঞাপনের বাজারকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়। বিজ্ঞাপনের এই বিশাল বাজার দখলে রেখে মূলত দেশের গণমাধ্যমগুলোকেই পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আওয়ামী মালিকানাধীন এশিয়াটিক গ্রুপের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনার আমলে তারা কোনো কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে জোর করে ব্যবসা থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ এসেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিজ্ঞাপনের বাজার একটি মাত্র কোম্পানি বা গ্রুপের হাতে রাখতে বিগত পনেরো বছর সরাসরি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও হাসিনার আরেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
জেএন/এমআর