দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্য ‘ওপেন সিক্রেট’

দুর্নীতি-হয়রানির আখড়ায় পরিণত বিআরটিএ চট্টগ্রাম

বিশেষ প্রতিবেদন :

রাজীব সেন প্রিন্স: চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানাধীন বালুচরা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ দপ্তরটি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অফিসের ভেতরে বাহিরে সবখানেই যেন দুর্নীতির মহোৎসব চলছে।

- Advertisement -

ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিটসহ সংশ্লিষ্ট কাজ করিয়ে দেয়ার নামে ভেতরে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী আর বাইরে প্রকাশ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চিহ্নিত দালালচক্রের যোগসাজশে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট।

- Advertisement -google news follower

দুদকসহ সরকারি আইনশঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত সংস্থাগুলোর চোখ ফাঁকি দিয়ে সিন্ডিকেটটি মিলে মিশে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অন্যদিকে হয়রানি ও নির্ধারিত ফি’র বাইরেও মোটা অঙ্কের অর্থ গুণতে হচ্ছে গ্রাহককে।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ে দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্য ‘ওপেন সিক্রেট’। এ অফিসে নিয়মিত হাজির থাকেন বহিরাগতরা, টাকা হলেই মিলছে অনভিজ্ঞদের লাইসেন্স-ফিটনেস সার্টিফিকেট।

- Advertisement -islamibank

অনুমোদিত অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ১০ হাজার এবং পেশাদারদের জন্য ১২ হাজার টাকা নিয়ে লাইসেন্স দিচ্ছে এ সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণকারীদের কোনো ধরনের লিখিত বা ব্যবহারিক পরীক্ষা লাগছে না।

অথচ বৈধভাবে এ লাইসেন্স পেতে বছরের পর বছর পরীক্ষা দিয়ে ১০ বছরেও লাইসেন্স না মেলার নজির রয়েছে। এতে করে গ্রাহক হয়রানি যেমন বাড়ছে তেমনি দিন দিন বেড়ে চলেছে অনাকাঙ্কিত সড়ক দূর্ঘটনা।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও সম্প্রতি চট্টগ্রামের বালচরাস্থ কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।

দেখা যায়, নতুন কেউ কাগজ করাতে গেলেই তাকে গিয়ে ধরছে কয়েকজন। অল্প সময়ে কাগজ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আদায় করে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

একাধিক ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে ঘুষ ছাড়া মেলে না সেবা। টাকা হলেই অনভিজ্ঞরা পাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

সড়কের আনফিট গাড়ীগুলো পাচ্ছে ফিটনেস সার্টিফিকেট। আর এ সবই চলছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।

অভিযোগ করেছেন নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা লেগুনা চালক রশিদুল এবং পতেঙ্গা স্টিল মিল এলাকার সিএনজি চালক সোহাগ মিয়া, অলংকারের প্রাইভেট কার চালক আমিনুল, সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট এলাকার বাসিন্দা শাহেদসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী।

তারা বলেন আমরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আমাদের গাড়ির নাম্বার প্লেট ও যাবতীয় কাজের কোন সমাধান পাচ্ছি না, বরং যারা আমাদের পরে আসছেন তারা এই অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এবং তাদেরকে আমাদের সামনেই ঘুষ দিয়ে তাদের কাজ আগেই হয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চট্টগ্রামের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিআরটিএর প্রতিটিসেবা খাতে প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ দুর্নীতি।

আর্থিক লেনদেনে জেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলকারী আনফিট গাড়ি গুলোকে পরিদর্শন না করেই ফিটনেস সাটির্ফিকেট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে।

সেই সাথে ড্রাইভিং পরীক্ষার নামে লোক দেখানো উপস্থিতি দেখিয়ে অদক্ষ চালকরা নির্দ্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে হাজিরা দিয়ে ইহাতে পাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০১টি খাতে দুর্নীতি চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে বিআরটিএকে দুর্নীতির উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সরকার ঘুষের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও রহস্যজনক কারনে এদের লাগাম টানা যাচ্ছেনা বলে একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকবার অভিযান পরিচালিত হলে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমে। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় আগের অবস্থানে চলে আসে। আর বরাবরের মতো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বেশি হওয়ায় কর্মকর্তারা সরিসরি টাকা গ্রহণ করেন না। এ জন্য দালালদের দিয়ে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেন। এভাবে দুর্নীতিবাজরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকার মোটা অংকের রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে।

এডি উর্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ :
নাম প্রকাশ না করা সর্তে সংস্থাটির সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন জানায়, চট্টগ্রাম বিআরটিএ’র কতিপয় অসৎ কর্মকর্তারা উপরমহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষের রাজত্ব কায়েম করছেন সহকারি পরিচালক (এডি) রায়হানা আক্তার উর্থী। তার নিয়ন্ত্রণাধীন গড়ে উঠেছে ঘুয বাণিজ্যের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

আবার কেউ কেউ জুলাই পরবর্তী সময়ে বিআরটিএর পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তারা আক্ষেপের সুরে বলেন, জনরোষে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বিআরটিএ ছিল একচ্ছত্র ঘুষের হাট। সরকার পরিবর্তণ হওয়ার পর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষের কারবার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও বিআরটিএ’র সেবায় এর স্পর্শ লাগেনি।

নতুন চেয়ারম্যান আসার পর চট্টগ্রাম থেকে দুই একজনকে বদলী করলেও বহাল তবিয়তে আছেন ঘুষ বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক রায়হানা আক্তার উর্থী ও তার সিন্ডিকেট।

কে কে রয়েছেন সিন্ডিকেটে : নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, চট্টগ্রাম বিআরটিএ অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন সেবা পাওয়া যায় না। যে কোন কাজের জন্য আগে ঘুষের চুক্তি করতে হয়। চুক্তি হয়ে গেলে খুব সহজেই কাজ হয়ে যায়। আর চুক্তি না হলে দিনের পর দিন ঘুরেও কাংখিত সেবা পাওয়া যায় না।

এসব ঘুষের সিন্ডিকেটে রয়েছেন সহকারী মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল মতিন, জেলা রেজিস্ট্রেশন শাখার টিপু সুলতান, সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা সলিমুল্লাসহ কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা। আর মেট্রো এলাকায় রেজিস্ট্রেশন শাখার ঘুষের ক্যাশিয়ার হিসেবে আছেন রুবেল নামের একজন বহিরাগত লোক।

এই সিন্ডিকেট সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। আর ঘুষ না দিলে নানাভাবে হয়রানি করেন। এমনকি সব কাগজপত্র থাকলেও ঘুষ না দিলে ফাইল থেকে জরুরী কাগজ বের করে ফেলে দিয়ে গাড়ি মালিকদের বিপদে ফেলে দেন। ফলে অনেকে বাধ্য হয়েই ঘুষ দিয়ে থাকেন।

বিশ্বস্থ আরেকটি সূত্র জানায়, বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসের সহকারি পরিচালক (এডি) রায়হানা আক্তার উর্থী ও মোটরযান পরিদর্শকের যোগসাজসে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহিরাগত দালালরা অফিসে যাতায়াত করছে।

ভুক্তভোগী কয়েকজনের অভিযোগ, ব্যাংকে সরকারি ফি দিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে গেলে অফিসের মোটরযান পরিদর্শকের নিজস্ব খলিফারা বিভিন্ন আজুহাত দেখিয়ে সেই কাগজ ঠিক করার নামে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করেন। এভাবে মালিকানা বদলিসহ নানা কাজে ‘কোটি কোটি টাকাবাণিজ্য’ চলছে প্রকাশ্যে।

যেভাবে আদায় করা হয় ঘুষ:

বিআরটিএ’র গ্রাহক সেবা ঠিকমতো দেয়ার জন্য কয়েকটি শাখায় ভাগ করা আছে। এরমধ্যে রুট পারমিট, ফিটনেস, রেজিস্টেশন ও লাইসেন্স অন্যতম। এসব প্রত্যেকটা শাখায় নির্ধারিত ঘুষ দিয়ে সেবা পেতে হয়।

ভুক্তিভোগীদের মতে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যাংকে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পরও অফিস খরচ হিসেবে টাকা দিতেই হবে। যেমন মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারের ফিটনেস বাবদ দিতে হয় টাকা।

ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে টাকা, বাসে টাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন করতে টাকা, ভারি যান রুট পারমিট পেতেও দিতে হয় টাকা।

মালিকানা বদলির ক্ষেত্রেও টাকা। আর দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রদানকালে দিতে হয় বড় অংকের অর্থ। আর এসবই হয় অফিস খরচ নামে।

ভুক্তভোগী কয়েকজনের অভিযোগের সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য ঘুষ লেনদেনের হিসেব :

পারমিট: নতুন বাস পারমিটের জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়, নবায়নের ক্ষেত্রে ৩/৪ হাজার টাকা, আর ঘুষ দিতে না চাইলে মডেল আউট বলে হয়রানি করা হয়।

ট্রাকপ্রতি ৩,৪,৫ হাজার, সিএনজি ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করা হয়। নতুন রুট তৈরি করতে প্রথমে ২ লাখ টাকা দিতে হয় মতিন ও উর্থীকে।

পারমিটের ঘুষের ভাগ এডি ৬০ শতাংশ আর সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মতিন পায় ৪০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৬০ পারমিট দেয়া হয়েছে যার প্রতিটি গড়ে ২০০০ টাকা হিসাব করলে ওই মাসে এই খাতে ঘুষের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২০ লাখ টাকা।

রেজিস্ট্রেশন: রেজিস্ট্রেশন শাখায় মালিকানা পরিবর্তণের জন্য গাড়ি প্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এসব ঘুষের ৫০% এডি, ২০% এলডি, ১৫% এআরও এবং পরিদর্শক ১৫% করে ভাগ পায়।

জেলা এলাকার জন্য টিপু সুলতানের মাধ্যমে আদায় করা হয়। আর মেট্রো এলাকার জন্য প্রত্যেক দপ্তরে আলাদা ক্যাশিয়ার আছে।

ফিটনেস: ফিটনেস প্রদানে সিএনজি ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা, ট্রাক ১৮০০ থেকে ২০০০, হিউম্যান হলার ৪ থেকে ৫ হাজার, ফোরস্ট্রোক থেকে ২৫০০ টাকা ঘুষ আদায় করা হয়।

ফিটনেস থেকে ১৮% হিসাবে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ হাজা টাকা পায় এডি উর্থী, এছাড়াও নামে বেনামে বিল ভাউচার দিয়ে টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করে।

লাইসেন্স শাখা: নতুন লাইসেন্স ইস্যু করতে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে চুক্তি করতে হয়। চুক্তি না হলে ফেল করানো হয়।

মাসে ১৫ টি বোর্ড বসে, প্রত্যেক বোর্ডে ১৬০ জনের ভাইবা হয় তারমধ্যে ১২০/১৩০ জনকে পাশ করানো হয়। যারা পাশ করে প্রত্যেকেই কোননা কোনভাবে তদবীর করে পাশ করতে হয়।

প্রতি বোর্ডে ১০/১২ জন সদস্য থাকে। তারমধ্যে থেকে এডি রায়হানা আক্তার উর্থী একাই ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পায়। বাকীগুলো অন্য সবার মাঝে ভাগ হয়ে থাকে। লাইসেন্স খাত থেকে প্রতি মাসে ঘুষ আসে প্রায় ১ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডি উর্থী পায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা।

মোট কথা চট্টগ্রাম বিআরটিএ একটি ঘুষের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে এই সিন্ডিকেট। এসব ঘুষের টাকা থেকে কতিপয় দুর্নীতিবাজ সিনিয়র কর্মকর্তাদের দিয়ে বাকী টাকা দিয়ে নিজেরা নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন।

বিআরটিএ কার্যালয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা শাহিনের অভিযোগ, এ অফিসে ঘুষ ছাড়া গাড়ীর নতুন বা নবায়ন লাইসেন্স হয় না। তাও নিজে করতে গেলে পোহাতে হয় নানা বিড়ম্বনা। দ্বারস্থ হতে হয় দালালদের।

তিনি দাবি করেন, যে কোন কাজের ঘুষে টাকা দালালরা নির্দ্দিষ্ট হারে জমা দেন মোটরযান পরিদর্শক কাছে। পরে ওই টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়।

রঈছউদ্দিন নামে অপর এক গ্রাহকের অভিযোগ, আমার একটি ভারিলাইসেন্সের জন্য প্রায় দশ হাজার টাকা গুণতে হয়েছে। কারণ ঘুষ ছাড়া কাজ হবে না, তাই হয়রানী এড়াতে টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।

তবে সমস্থ অভিযোগ অস্বীকার করে বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (এডি) রায়হানা আক্তার উর্থী বলেন, আমাদের অফিসের কার্যক্রম ভালই চলছে। সেবা পেতে আসা গ্রাহকরা হরানির শিকার হচ্ছেন এমন কোন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।

তিনি বলেন, ঘুষ বাণিজ্যের তো প্রশ্নই উঠে না,কারণ এখন সবকিছু অনলাইনে লেনদেন হয়। ১২ বছর চট্টগ্রামে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বান্দরবানে বদলী হয়েছিলেন। তবে ২০১৯ সালে আবারো চট্টগ্রাম ফিরে আসেন।

চট্টগ্রাম বিআরটিএর অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ঘুষ বা হয়রানিসহ যেকোন অপরাধের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারাই অপরাধে জড়াবে প্রত্যেকইে আইনের আওতায় আনা হবে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM