আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছেন তরুণ ছাত্রলীগ নেতা এম কায়সার উদ্দিন। পরীক্ষিত ও তরুণ এ ছাত্রনেতার প্রার্থিতার খবরে পেকুয়া উপজেলায় শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ।
শিবিরের দুর্গ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ নেতা পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পেকুয়ার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব বিলহাসুরা এলাকার আকতার আহমেদের ছেলে কায়সার উদ্দিন চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগ থেকে সফলতার সাথে বিএ ও এমএ পাশ করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুলজীবন থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন ছাত্ররাজনীতিতে। ১৯৯৮-২০০৪ সাল পর্যন্ত পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে এখন পর্যন্ত সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের। তার আগে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পরে সভাপতি, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক ও পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি, আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রক্তিম’৭১ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রাণের’৭১ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদের সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাঠ কাঁপানো এ নেতার ওপর বেশ কয়েকবার নির্যাতন চালায় বিএনপি জামায়াত ক্যাডাররা। ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁর ওপর আক্রমণ চালায় ছাত্রশিবির। ২০০৭ সালে নগরের চকবাজারে তাঁর ওপর ফের হামলা চালায় ছাত্রশিবির।
২০০৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ করার কারণে মিথ্যা মামলা (হত্যা মামলা) দিয়ে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের চেষ্টা চালানো হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রশিবির নেতারা তাঁকে চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হোস্টেল থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালায়।
ছাত্রলীগ করার কারণে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম কলেজে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রসংসদে ধরে নিয়ে গিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নির্যাতন চালানো হয় এ নেতার ওপর।
২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ঝুঁকি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন কায়সার উদ্দিন। বিশেষ করে তৎকালীন মামলা হামলার মধ্যে বিএনপি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পেকুয়া উপজেলায় ছাত্রলীগের কর্মীদের একত্রিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে নিজ এলাকা পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মইয়াদিয়া প্রাইমারী স্কুল ভোটকেন্দ্রে নৌকা মার্কার চিফ এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চট্টগ্রাম কলেজ শিবিরমুক্ত করার সপ্তাহখানেক পর মহসিন কলেজ শিবিরমুক্ত করার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
দলের দুঃসময়ের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত এ নেতা জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও। তিনি বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রামস্থ পেকুয়া উপজেলা ছাত্র যুবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি, চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার জেলা ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি ও উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জয়নিউজ/জুলফিকার