অর্থনীতি ডেস্ক : সান্ডার সঙ্গে পান্ডা ফ্রি। এলাকা যেন তোলপাড় করে ফেলেছে এই সান্ডা। আরবের কফিলদের পছন্দের সান্ডা আকারে ছোট হলেও ধামরাইয়ের এই সান্ডা বিশাল দেহী এক গরু।
সান্ডার সঙ্গে ফ্রি পান্ডাটি একটি ছাগল যার গায়ের রং দেখতে একদম পান্ডার মতো। সান্ডা আর পান্ডা এখন টক অফ ধামরাই।
রোববার (২৫ মে) নিজের পালিত গরু সম্পর্কে সাংবাদিকদের এভাবেই বলেন, সাভার কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র নাঈম হোসাইন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা নাঈম হোসেন জানান, আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পারিবারিক খামারে তিন বছর ধরে পালছেন এই গরুটি। নিজেদের পালের বাছুরটিকে আদর যত্ন দিয়ে বড় করে তুলেছেন।
দেখতে কুচকুচে কালো নজরকাড়া এ গরুটির নাম বর্তমান ভাইরাল যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে রেখেছেন সান্ডা।
সান্ডা নামের এই বিশাল ষাঁড়টির উচ্চতা ৬.৫ ফুট, আর দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির ওজন প্রায় ৩১ মণ দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
আরেও আকর্ষণের বিষয় হচ্ছে এই গরুটি কিনলে ফ্রিতে পাবেন একটি খাসী যার নাম পান্ডা।
পড়াশোনার পাশাপাশি পারিবারিক খামারটি দেখাশোনা করেন নাঈম। তাদের একটি গাভী থেকে গত তিনবছর আগে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুর হয়।
নাঈম বাছুরটি পছন্দ করে আদর যত্ন করে পালন শুরু করেন, গত বছর ভালো দাম না পেয়ে বিক্রি করেননি। এবার আশা করছেন ভালো মূল্য পাবেন।
সান্ডার সঙ্গে পান্ডা ফ্রি এই বাক্যে যেন এখন এলাকা তোলপাড়। সান্ডা এখন শুধু গরু নয়, এলাকায় সে এক তারকা! মজার বিষয় হচ্ছে সান্ডার সঙ্গে ফ্রি খাসিটি দেখতে পান্ডার মতো।
প্রচণ্ড গরমের কারণে তাকে প্রতিদিন ৩-৪ বার শ্যাম্পু ও সাবান দিয়ে গোসল করানো হয়। মশার কামড় থেকে বাঁচাতে গোয়ালঘরে মশানাশক স্প্রে করা হয় এবং মাথার উপর সারাক্ষণ ফ্যান চালানো হয়।
প্রতিদিন তার খাবারের পেছনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা। খাবারের তালিকায় রয়েছে খৈল, ভিজানো ছোলা, ভুট্টা, গমের ভুসি, মিষ্টি কুমড়া ও তাজা ঘাস।
ষাঁড়টি এতটাই বড় হয়েছে যে, তাকে কখনও গোয়ালঘর থেকে বের করা হয়নি! ইতোমধ্যেই আশেপাশের অনেক গ্রাম থেকে মানুষ আসছেন সান্ডা ও পান্ডাকে দেখতে, অনেকে দর কষাকষিও করছেন।
তবে মালিক জানিয়েছেন সন্তোষজনক দাম না পাওয়া পর্যন্ত বিক্রি করছেন না। সূত্র আরটিভি