বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিতর্ক সংগঠন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ডিবেটিং ক্লাবের (বিজিসিটিইউবিডিসি) উদ্যোগে ‘আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক নওরীন আফরিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার ড. এস.এম শোয়েভ, অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ সরোয়ার উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ বিন রহিম, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল হান্নান, ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ আজিম উদ্দিন, ক্লাবের উপদেষ্টা ও জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া ষ্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমী।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কুশলব কুমার নাথ ও সাংগঠনিক সম্পাদক নওশীম আঞ্জিলা রনির যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি আনিসুর রহমান।
চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় সম্মানিত বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুদ্দীন মুন্না, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব ডিবেট এর সাবেক সভাপতি ফারহানা খান যুঁথী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক যিনুফার ইয়াসমীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব বলেন, ‘সুন্দর বাচনভঙ্গি, উপস্থাপন, সুন্দর কন্ঠ অনুশীলনে বিতর্ক একটি অন্যতম মাধ্যম। অনুশীলন ও চর্চা ছাড়া কোন কিছুতেই মেধার বিকাশ ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখা যায় না। পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক চর্চা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নিজেদের তথা সমাজের উন্নতি সাধনে অবদান রাখতে পারে। কারণ যুক্তিতর্কের লড়াইয়ের মাধ্যমে কোন একটি অমিমাংসিত বিষয়ের সমাধান সম্ভব। বিতর্ক যে কোন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের মেধাকে শাণিত করে। তাই বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ডিভেটিং ক্লাবের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যামে বিতার্কিক সৃষ্টির এই আয়োজনের জন্য আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আশা করছি আজকের অংশগ্রহনকারী বিতার্কিকরা বিগত দিনের মত আগামীদিনেও বিভিন্ন পর্যায়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১২টি দলের সমন্বয়ে ৩৬জন বিতার্কিক অংশগ্রহন করে। ফাইনালে কাপ্তাই দল চ্যাম্পিয়ন এবং আন্ধারমানিক দল রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এবার যৌথভাবে সেরা বিতার্কিক হন আমিয়াখুম দলের নুসরাত জাহান মিম ও আন্ধারমানিক দলের সানজিদুল ইসলাম সাইমুন, ফাইনাল পর্বের সেরা বিতার্কিক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন আন্ধারমানিক দলের সানজিদুল ইসলাম সাইমুন। প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বেও চট্টগ্রামের প্রায় ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন স্বনামধন্য বিতর্ক ক্লাবের মোট ১৪জন বিচক্ষন ও বিজ্ঞ বিতার্কিকগণ আমন্ত্রিত বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর