চুপি চুপি এগিয়ে আসছে ইবাদতের এক বরকতময় মৌসুম—জিলহজ মাস। এই মাসের প্রথম ১০ দিন কোরআন ও হাদিসের আলোকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ হলেও মুসলিমদের মাঝে সচেতনতায় দেখা যায় ঘাটতি।
ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, ‘জিলহজের এই বসন্তকাল ইবাদতের সবচেয়ে অবহেলিত সময়। আমরা যদি এর মহিমা বুঝতাম, তবে রমজানের মতোই একে বুকে আগলে রাখতাম।’
তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, এই দিনগুলোর কদর করি। আমলের শূন্য উদ্যানে সবুজ বৃক্ষ রোপণ করি।’
ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিলহজের প্রথম দশ দিন হলো এমন একটি সময়, যখন প্রতিটি নেক আমল আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে প্রিয় হয়। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় অন্যকোনো দিনের আমল নেই। এ দিনগুলোর এক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য এবং এক রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদততুল্য।’ (তিরমিজি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা-১৫৮)
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত
বেশি বেশি নফল সালাত আদায়
রোজা রাখা (বিশেষ করে ৯ জিলহজ, যাকে আরাফার দিন বলা হয়)
তওবা ও ইস্তিগফার
কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির
কোরবানি
সামর্থ্য থাকলে হজ
দান-সদকা
জিলহজের এই বরকতময় সময় যেন হারিয়ে না যায় নিঃসাড়ে—এটাই শায়খ আহমাদুল্লাহর আহ্বান। তাঁর বার্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ইতোমধ্যে ইবাদতের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছেন।
আমাদের করণীয়: জেগে উঠার সময় এখনই। ইবাদতের এ ‘গোপন বসন্তকাল’ যেন অযত্নেই হারিয়ে না যায়। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
জেএন/এমআর