চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মানববন্ধনে হামলার ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নগরীর রাজপথ। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওবায়দুর রহমান ও মো. সেলিম নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে বুধবার (২৮ মে) রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরের কোতোয়ালি থানাকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন শাহবাগবিরোধী ঐক্যের নেতাকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ঘটনার তদন্তে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে রাত ৯টার দিকে শহরের আন্দরকিল্লা এলাকায়ও বিক্ষোভ করে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের নেতারা। রাত ১২টার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভকারীরা থানা এলাকা ছেড়ে যান।
এদিকে আটককৃত ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে রাতেই শহরের আন্দরকিল্লা এলাকায়ও বিক্ষোভ করে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের নেতারা।
জানা যায়, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদ এবং রাজশাহীতে ছাত্রজোটের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ডাকা মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৫-১৮ জন আহত হন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছে ছাত্রজোট। একজন নারীকে লাথি মারার একটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রজোটের নেতারা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিচয় দিয়েছে হামলাকারীরা। অন্যদিকে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ এনে বলা হয়, বাম সংগঠনগুলো আবারও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে এবং এটিএম আজহারের রায় নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
থানা ঘেরাওয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম। তবে ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ও হাতাহাতি হয়েছিল। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
জেএন/এমআর