বাজারে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মাছের দাম। মাছের সরবরাহও কম। কুয়াশার কারণে মাছ ধরা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) নগরের দেওয়ান বাজার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, মাছের দাম বেড়েছে। রুই প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, দেশি কই ৪০০ টাকা, কার্পু ১৫০ টাকা, মলা ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, লাল পোয়া ১৪০ টাকা, ছোট ইলিশ ২৫০ টাকা, ৬ থেকে ৭শ’ গ্রাম ওজনের একেকটা ইলিশ ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতারা জানান, বাজারে মাছের যোগান কম। কুয়াশার কারণে সাগরে জাল ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। প্রচ- শীতের কারণে অসংখ্য ফিশিং বোট সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়নি। যার কারণে মাছের দাম কিছু বেড়েছে।
এদিকে বাজারে সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। এজন্য সবজির মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, নতুন আলু ২০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, শিমের বিচি ৯০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৬০ টাকা, শশা ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, লাউ ২৫ টাকা, তিতা করলা ৫০ টাকায় বিক্রি হয়চ্ছে।
দেওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী আহমেদ জয়নিউজকে জানান, বাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই। কিন্তু বারোমাসি সবজির দাম কিছু বাড়তি। তবে শীত কমে এলে সবজির দাম বাড়তে পারে।
অন্যদিকে মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, সোনালী মুরগি ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পূর্বের মতো প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৮০ টাকা ও খাসি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।