বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মদিনাতুল উলুম মডেল ইন্সটিটিউট আলিম মাদরাসার সুপার (অধ্যক্ষ) ও এক ছাত্রীর অন্তরঙ্গ সেলফি (ছবি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল হওয়ায় লেখাপড়ার সুবিধার্থে মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে নিজ বাড়িতে রাখেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। পরে ঐ ছাত্রীর সঙ্গে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের অন্তরঙ্গ সেলফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ছবিতে দেখা যায় মাদরাসা সুপার গায়ে চাদর মুড়িয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় আছেন। ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় মাদ্রাসার ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রীর অভিভাবক ঐ ছাত্রীকে অধ্যক্ষের বাসা থেকে পরিবারের কাছে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
ছাত্রীর পিতা আবদুল গফুর গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তাকে (ছাত্রীর বাবাকে) পিতা ডেকেছেন। সেই সুবাদে সম্পর্কে আমার মেয়ে এবং অধ্যক্ষ দু’জন ভাই-বোন। ছবির বিষয়টি নিয়ে মানুষ ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু ঘটনার পর মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসা সুপার ছৈয়দ হোসেন বলেন, কোনো ছবির বিষয়ে আমি জানি না। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির কথা বললে উত্তর না দিয়েই লাইন কেটে দেন তিনি।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদরাসা গভর্নিং বডির সদস্য তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি’নিয়ে দু’য়েক দিনের মধ্যে মাদরাসা কমিটির বৈঠক করা হবে। তারপর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, মাদরাসা শিক্ষকরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়নিউজ/আলাউদ্দিন শাহরিয়ার/বিশু/জুলফিকার