চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন করছেন আজ

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা আজ শুক্রবার একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করছেন।

- Advertisement -

ওই দরবার অনুসারীরা দুইশত বছর আগে থেকে এইভাবে ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। তাদের ঈদ পালন নিয়ে নানা সমালোচনাও রয়েছে।

- Advertisement -google news follower

মির্জাখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, মির্জাখীল দরবারের খানকাহ মাঠে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীনের (ক.) পদাঙ্ক অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

- Advertisement -islamibank

বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (কঃ) তত্ত্বাবধানে ওনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমানের নামাজের ইমামতি করেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে, আজ শুক্রবার সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডাঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসকামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান ও চুনতী শুক্রবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

এ ছাড়া সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরশরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরাও দেশের একদিন আগে ঈদ করছে।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবারের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাজহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দ্বিশতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ দিবসের পরের দিনই পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং গতকাল হজ পালনের খবর সচিত্র অবগত হয়েছি।

এ ছাড়া এ বছর শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদের হজের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে দেখে-শুনেই দেশ-বিদেশে সিলসিলায়ে আলীয়া জাঁহাগীরিয়া, মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা আজ জুমাবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে। পরে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি সম্পন্ন করা হয়।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM