উয়েফা নেশন্স লিগ

টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল

অনলাইন ডেস্ক

ধারণা ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে এই ম্যাচে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা যতই হোক, স্পেন হয়তো জিতবে। কারণ, ফ্রান্সের বিপক্ষে যে খেলা তারা দেখিয়েছে, স্পেনের তরুণ ফুটবলাররা মৌমাছির ঝাঁকের মত একসঙ্গে যেভাবে আক্রমণ সাজিয়েছে, তাতে পর্তুগাল উড়ে যেতে পারে সে সম্ভাবনাও ছিল।

- Advertisement -

কিন্তু ধারণা যে সব সময় সঠিক হয় না তার প্রমাণ দিলো পর্তুগালের ফুটবলাররা। দুই বার পিছিয়ে পড়েও দু’বারই সমতায় ফিরেছে তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিটে। ১২০ মিনিটের খেলাও ২-২ গোলে সমতায়। চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণে ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে।

- Advertisement -google news follower

সেখানেই বাজিমাত করলো পর্তুগাল। বিশেষ করে পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা। স্পেন অধিনায়ক আলভারো মোরাতার শট ঠেকিয়ে দিয়ে তিনিই হয়ে গেলেন শেষ মুহূর্তের নায়ক। রুবেন নেভেস ৫ম শটটি স্পেনের জালে জড়িয়ে দিতেই বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন পর্তুগিজ ফু্টবলাররা। স্পেনকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত উয়েফা নেশন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো পর্তুগাল। আরও একটি শিরোপা উঠলো রোনালদোর হাতে। ফাইনালে গোলও করলেন তিনি।

টাইব্রেকারে প্রথম শট নেন পর্তুগালের গনকালো রামোস, গোল ১-০। স্পেনের প্রথম শট নেন মাইকেল মেরিনো, গোল ১-১। পর্তুগালের দ্বিতীয় শট নেন ভিতিনহা, গোল ২-১। স্পেনের দ্বিতীয় শট অ্যালেক্স বায়েনার, গোল ২-২। পর্তুগালের তৃতীয় শট ব্রুনো ফার্নান্দেজের, গোল, ৩-২। স্পেনের তৃতীয় শট নেন ইসকো, গোল, ৩-৩। পর্তুগালের চতুর্থ শট নেন নুনো মেন্ডেজ, গোল এবং ৪-৩। স্পেনের চতুর্থ শট নেন আলভারো মোরাতা। এটা ঠেকিয়ে দিলেন গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা, ৪-৩। পর্তুগালের পঞ্চম শট নেন রুবেন নেভেস। গোল, ৫-৩।

- Advertisement -islamibank

লড়াইটা ছিল ৪০ বছরের রোনালদো বনাম ১৭ বছরের লামিনে ইয়ামালের। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছে কারলো তারুণ্য। রোনালদো হারিয়ে দিলেন ইয়ামালকে। যদিও মাঠের খেলায় স্পষ্ট আধিপত্য ছিল স্পেনের; কিন্তু গোলের খেলায় গোলেই যদি এগিয়ে থাকা না যায়, তাহলে কোনো লাভ নেই।

২১ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় স্পেন। একটি লুজ বল পেয়ে ডান পায়ের দারুণ এক শটে পর্তুগালের জালে জড়িয়ে দেন মার্টন জুবিমেন্দি।

২৬ মিনিটেই গোলটি পরিশোধ করে দেন নুনো মেন্ডেজ। পেদ্রো নেতোর কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাম প্রান্ত থেকে জোরালে এক শট কাঁপিয়ে দেয় স্পেনের জাল। কয়েকজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করেও থামাতে পারেনি মেন্ডেজকে।

প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে স্পেন আবারও এগিয়ে যায়। এবার গোল করেন মিকেল ওইয়ারজাবাল। ডান পাশ থেকে বলের জোগান দেন লামিনে ইয়ামাল। বল পেয়ে যান পেদ্রি। তিনি আলতো করে ঠেলে দিলে ওইয়ারজাবাল দারুণ এক শটে সেটিকে জড়িয়ে দেন পর্তুগালের জালে।

৬১ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করেন রোনালদো। সতীর্থের লম্বা করে বাড়িয়ে দেয়া পাস স্পেনের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে বাসে বক্সের মধ্যে। আরেক ডিফেন্ডার ব্লক করেছিল রোনালদোকে। কিন্তু বলে শট নেয়া থেকে তাকে বিরত রাখতে পারেনি। গোল করলেন রোনালদো। ২-২ সমতায় ফেরে পর্তুগাল। মূলত রোনালদোর এই দুর্দান্ত গোলটিই বাঁচিয়ে দেয় পর্তুগালকে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM