নগরের কোলাহলমুক্ত কিন্তু ব্যস্ততম এলাকার একটি শমসের পাড়া। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার চলাচলের মূল সড়কটি ছিল উন্নয়নের ছোঁয়াবঞ্চিত। শমসের পাড়া থেকে হাজীরপুল পর্যন্ত এই সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যান চলাচলের জন্য একরকম অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যে কারণে এই সড়কে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হত এই এলাকার লক্ষাধিক মানুষকে। কিন্তু সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিশেষ উদ্যোগে সড়কটি এখন উঁচু করা হয়েছে, আগের চেয়ে প্রশস্তও হয়েছে অনেক বেশি। আর দীঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে সড়ক সংস্কারে ব্যবহার করা সিসি ঢালাই।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কটিতে ২৫০ শয্যার হাসপাতালসহ একটি মেডিকেল কলেজ, ৫০টি ডেন্টাল চেয়ারসমৃদ্ধ একটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি কওমী মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।
শমশেরপাড়া, অদুরপাড়া, হাজীপাড়া, রাজগঞ্জ, ঢালীপাড়া ছাড়াও কাপ্তাই, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া থেকে শহরে প্রবেশের জন্য যানজটমুক্ত বিকল্প সড়ক হিসেবে অনেকেই সড়কটিকে বেছে নেন।
গেল বছর সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সরেজমিন পরিদর্শন শেষে থোক বরাদ্ধ দিয়ে সড়কটি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ প্রদান করেন করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগকে। মেয়রের নির্দেশনায় সড়কটি আগের চেয়ে প্রায় দেড় ফুট উঁচু করা হয়। বিটুমিনের ঢালাইয়ের সড়ক দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার কারণে আধুনিক প্রযুক্তির সিসি ঢালাই দিয়ে সম্পন্ন করা হয় এই সড়কের কাজ। এতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এক বছর আগে যারা এই সড়ক ব্যবহার করেছেন, তারা ২০১৯ সালের শুরুতে নতুন সরকারের যাত্রালগ্নে উন্নত প্রযুক্তির সড়ক পেয়ে যারপরনাই খুশি।
স্থানীয় বাসিন্দা ডা. মনোয়ার হামিদ জয়নিউজকে বলেন, এই সড়কে লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকা সড়কটি সংস্কার করায় এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, শমসেরপাড়া থেকে হাজিরপুল একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়ক। রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর সড়কটি সংস্কারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি উঁচু এবং সিসি ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নগরবাসী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমি সেই আস্থার মর্যাদা দেব। নগরের কোন সড়কই ভাঙাচোরা থাকবে না। ইতিমধ্যে যে পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা অতীতে সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।