চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা এবং ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে যৌথ বাহিনী।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানিহাট এলাকায় টানা যৌথভাবে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
টানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত এ অভিযানে সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিস্তা করিম, সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন মো. শামীম পারভেজ, দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব আলম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফসহ উপজেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার (১৪ জুন) হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কীর্তিমান চাকমার নেতৃত্বে টানা ৩ ঘণ্টা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছিল যৌথ বাহিনী।
কিন্তু উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আবার ফুটপাত দখলে নেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় গত বুধবার টানা ৫ ঘণ্টা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন মো. শামীম পারভেজ বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা এবং ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনার জন্য মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকত।
সাধারণ পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতেন না। যানজট নিরসন ও সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এসব অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিস্তা করিম বলেন, ‘ভাসমান ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে তাদের সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা এবং ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা নির্দেশনা অমান্য করে আবার দখল করে নেয়।
সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে আমাদের অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসব জায়গায় আবার স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেএন/পিআর