চালের দামে ঊর্ধ্বগতি,সবজির বাজারেও স্বস্তি নেই

অর্থনীতি ডেস্ক :

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের বাজারে সরু চাল (নাজির/মিনিকেট) বস্তা প্রতি ২শ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এ জাতের চাল গত সপ্তাহে বাজারে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। মাঝারি মানের চাল (পাইজাম/লতা) ৫২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা।

- Advertisement -

এছাড়া স্বর্ণা ও চায়না ইরি জাতের মোটা চলের দাম ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। তাছাড়া জিরাশাইল ৬৭ থেকে ৬৯ টাকা আর পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেশি।

- Advertisement -google news follower

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে এই দাম জানা গেছে।

এদিকে সবজির বাজারও এখন বেশ চড়া। ঊর্ধ্বগতি দাম মাছের বাজারেও। তবে তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে মসলার বাজার।

- Advertisement -islamibank

আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজার, কাজিড় দেউরি ও কর্ণফুলি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বেশ কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানায়, ঈদুল আজহায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এ সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বগতি। পাইকারিতে বস্তা প্রতি প্রায় ২শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে জানালেন তারা।

কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবজির জোগান কিছুটা কমে আসায় দাম বেড়েছে অধিকাংশ সবজির। বাজারে এখন প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

টমেটো-ঝিঙে-বরবটি ও চিচিঙা এবং কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। করলা ৫০-৭০ টাকা, বেগুন ৭০-৯০ টাকা, কাঁকরোল ৭৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা ও পটল ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

অন্যান্য সবজির মধ্যে চালকুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, শসা ৫০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। তাছাড়া নিত্য পণ্য আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় খুচরা পর্যায়ে।

দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, ঈদুল আজহার বন্ধের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়া এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় বাজারে সবজির দামের উপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তারা আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যেই দাম কিছুটা কমে আসবে।

এ সপ্তাহের বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আগের সপ্তাহের ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়েছে।

বাজারে এখন ১৬০-১৮০ টাকায় রসুন এবং ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য মসলা পণ্যের মধ্যে শুকনো মরিচ ৩৩০ টাকা, হলুদ ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেই মুরগির দাম ছিল ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। আর সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে বেড়ে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশি মুরগি ৬০০-৬২০ টাকা, লাল লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি এবং হাঁসের দাম জাতভেদে প্রতি পিস ৫৫০-৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতো রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, হাড় ছাড়া ১০০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও ফার্মের মুরগির ডিম ডজন ১২৫-১৩০ টাকা, দেশি হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকা এবং কোয়েল পাখির ডিম বক্স ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজার ঘুরে প্রতিকেজি চাষের রুই, কাতলা ২৮০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০-২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, লইট্টা মাছ ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়।

তাছাড়া চাষের চিংড়ি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১১০০শ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ