দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের টয়লেটে ধর্ষণের অভিযোগ উঠা পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্ট (পিএ) অপারেটর মো. সাইফুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বুধবার (২৫ জুন) রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী মো. মোতাহার আলীর সই করা পত্রে বিষয়টি জানানো হয়। পত্রটি সৈয়দপুরের বে-সরকারি বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা রাহাত এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে।
ওই পত্রে রাহাত এন্টারপ্রাইজকে বলা হয়েছে, মো. সাইফুল ইসলাম আপনার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে লালমনিরহাটের এসএসএই (টেলিকম) এর অধীনে ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মরত। তিনি নিয়মিতভাবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে পিএ অপারেটর হিসেবে কর্তরত ছিলেন। ২৫ জুন তিনি রংপুর-ঢাকা-রংপুর চলাচলকারী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে পিএ অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ট্রেনটি ঢাকা অবস্থানরত থাকাকালীন সময়ে সাইফুল ইসলামের নামে একটি নারী কেলেঙ্কারি বিষয়ের ঘটনা ঘটে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
আরও বলা হয়, অভিযুক্ত মো. সাইফুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিজামখান গ্রামে। তার পিতার নাম ইউছুফ উদ্দিন ও মাতার নাম মোছা. মমেনা বেগম।
ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, ২৫ জুন সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকারি ওই নারীর অভিযোগ করলে তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে দুপুরে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ফরহাত আহমেদ জানিয়েছেন, কমলাপুরে রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় টয়লেটে এক নারীযাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ওই নারী পিএ অপারেটর সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এরপর অভিযুক্তকে ট্রেনেই আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ওই নারীর কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাকে ফিরতি ট্রেনে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে ঘটনাস্থল কমলাপুর স্টেশনে মামলা হবে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
জেএন/এমআর