চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে আলো ছড়াচ্ছিল ব্রাজিলের ক্লাবগুলো। ইউরোপের নামি-দামি দলগুলোকেও নাকাল করে চমক জাগাচ্ছিল তারা।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে মাঠে নামে পালমেইরাস, প্রতিপক্ষ ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি।
ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডিই হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এক দুর্ভাগ্যজনক আত্মঘাতী গোল পালমেইরাসের স্বপ্নভঙ্গ ঘটায়।
গোলরক্ষক ওয়েভারটনের সেই ভুলেই ২-১ ব্যবধানে জয় পায় চেলসি, জায়গা করে নেয় শেষ চারেই।
ম্যাচের শুরুতেই চেলসিকে এগিয়ে দেন ইংলিশ তরুণ তারকা কোল পালমার। ১৬তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ট্রেভোহ চালোবাহর পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের দিকে এগিয়ে যান তিনি।
এরপর নিচু এক শটে বল পাঠিয়ে দেন জালের ঠিকানায়, এনে দেন ব্লুজদের প্রথম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরে পালমেইরাস। ৫৩ মিনিটে রিচার্ড রিওসের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক দারুণ শটে তাদের সমতায় ফেরান কয়েকদিন পর চেলসির জার্সি পরতে যাওয়া ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়ান।
ম্যাচে মোইসেস কাইসেদো না থাকায় চেলসির মাঝমাঠে সুযোগ পান ব্রাজিলিয়ান তরুণ আন্দ্রে সান্তোস, যিনি স্ট্রাসবুর্গে ধারে খেলে ফিরে এসেছেন।
এ ছাড়া এদিন চেলসির হয়ে অভিষেক হয় আরেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জোয়াও পেদ্রোর।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে শেষ দিকে ভাগ্যের ছোঁয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে ছোট পাসে বল পেয়ে মালো গুস্তো নিচু এক ক্রস দেন।
সেটি পামেইরাস ডিফেন্ডার গিয়াইয়ের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে ওয়েভারটনের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
এতেই নিশ্চিত হয় ব্লুজদের সেমিফাইনালের টিকিট আগামী মঙ্গলবার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আরেক ব্রাজিলিয়ান দল ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলবে এনজো মারেস্কার দল।
জেএন/পিআর