কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত পয়েন্ট থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। একই পয়েন্টে গোসলে নেমে চবির আরও ২ ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম কে এম সাদমান রহমান সাবাব। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে।
নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর একজনের নাম অরিত্র হাসান ও অন্যজন হলেন আসিফ আহমেদ। অরিত্র হাসান বগুড়া ঠনঠনিয়া দক্ষিণ পাড়ার মো. আমিনুল ইসলামের এবং আসিফ আহমেদ একই জেলার দক্ষিণ নারুলীর রফিকুল ইসলামের ছেলে।
তারা তিনজনই চবি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকেন।
জানা যায়, গতকাল সোমবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যায় চবির ৪ ছাত্র। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে ৩ জন হিমছড়ি বিচে নামেন। এক পর্যায়ে তলিয়ে যান তারা। পরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও বাকি ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বীচে না নামায় বেঁচে অক্ষত আছে অপর ছাত্র।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুমনাথ বসু।
তিনি জানান, ৩ পর্যটক গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়। সেখান থেকে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চবির সহকারী প্রক্টর ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, গতকাল রাতে প্রথম বর্ষের চারজন শিক্ষার্থী কক্সবাজারে ঘুরতে যায়। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা, অন্যরা এখনো নিখোঁজ।
আমরা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে। আমরা কয়েকজন শিক্ষক কক্সবাজারের উদ্দেশে বেরিয়েছি।
জেএন/পিআর