আগের ম্যাচেই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে চেলসির জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল ব্রাজিলের তরুণ ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো’র। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেই নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছিলেন। এবার প্রথমবার ইংলিশ জায়ান্টদের শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে কেড়ে নিলেন পুরো আলো। নিজের সাবেক ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষেই করলেন জোড়া গোল। যাতে ভর করে প্রথম দল হিসেবে চেলসি ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয়বার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পথে চেলসি জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে অবশ্য মাঠের পারফরম্যান্সে খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না ফ্লুমিনেন্স। তবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির বিগত দিনের চমক থেমে গেছে গোলবারে এসে। ২০২০ সালে ফ্লুমিনেন্স ছেড়ে আসার জোয়াও পেদ্রো–ই তাদের বিদায়ের গল্পটা লিখলেন। তবে শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেও উদযাপন করতে পারলেন না এই ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
ক্লাব বিশ্বকাপের আগের ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান দর্শকখরার শঙ্কা জাগিয়েছিল সেমিফাইনালেও। সে কারণে গত সপ্তাহেই ফিফা এক লাফে ৫৭ হাজার টাকার বেশি দামের টিকিট দেড় হাজারে নামিয়ে আনে। সংবাদ সংস্থা এপি’র তথ্যমতে, সেই উদ্যোগের ফলে সফলই বলা চলে বিশ্ব ফুটবলের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে। ৭০,৫৫৬ ধারণক্ষমতার মেটলাইফে ১০–১৫ শতাংশ সিট কেবল পূর্ণ হয়নি। ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল চেলসি। ৫৪ শতাংশ পজেশনের সঙ্গে নেয় ১৭টি শট। এর মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে ১২ শটের মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ফ্লুমিনেন্স।
জেএন/এমআর