রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল রংপুর রাইডার্স

অনলাইন ডেস্ক

শেষ ১২ বলে সমীকরণ ২০ রানের। টি-টোয়েন্টির বিচারে খুব একটা আহামরি টার্গেট নয়। ১৯ তম ওভারে খালেদ আহমেদের প্রথম বলেই চার মেরে গায়ানাকে ভালো শুরু এনে দেন ডেভিড ভিসা। দুই বল পর আরেকটি ছক্কার মার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ব্যাট থেকে। তবে ম্যাচের চিত্র পাল্টাতে সময় লাগল না। শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে রংপুরকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরান খালেদ।

- Advertisement -

শেষ ওভারে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। হাতে উইকেট একটি। আজমতউল্লাহর প্রথম বলেই ফিরলেন ডেভিড ভিসা। ৮ রানের জয় পেল রংপুর রাইডার্স। গ্লোবাল সুপার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও নুরুল হাসান সোহানরা।

- Advertisement -google news follower

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নেন নুরুল হাসান সোহান। কাইল মায়ার্স, ইফতিখার আহমেদ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, হারমিত সিং ও তাবরাজ শামসি-পাঁচ বিদেশিকে সাজানো হয় রংপুরের একাদশ।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে ইনিংস শুরু করেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। দুজনের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় রংপুর। সাইফ কিছুটা দেখেশুনে খেললেও হাতখুলে খেলেছেন সৌম্য। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙেন গায়ানার গুড়াকেশ মোতি। ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। উইকেটে থিতু হয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৌম্য সরকারও। মোতির ঝুলিয়ে দেওয়া বলে মিড উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৬ বলে ৩৫ রান করা সৌম্য।

- Advertisement -islamibank

ইনিংসের এগারোতম ওভারে আক্রমণে এসেই জোড়া উইকেট শিকার করেন ইমরান তাহির। একে একে ফেরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ইয়াসির আলী রাব্বিকে। ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রংপুর। সেখান থেকে দলকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক সোহান। ঝোড়ো শুরু করেছিলেন ব্যাট হাতে। ১০ বলে ১৮ রান করে শামার স্প্রিঙ্গারের বলে টপ এজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।

ষষ্ঠ উইকেটে কাইল মায়ার্স ও ইফতেখার মিলে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন। ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুজনে। তাতে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় রংপুর।

মাঝারি মানের টার্গেট তাড়ায় শুরুটা ইতিবাচক ছিল গায়ানার। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে যেন খুঁটি গেঁড়ে বসেছিলেন জনসন চার্লস ও মঈন আলী। ২৮ বলে ৪০ রান করা চার্লসকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের এই জুটি ভাঙেন হারমিত সিং। আর ২৭ রান করা মঈন আলীকে আউট করেন তাবরাইজ শামসি।

এদিন বল হাতে দারুণ কার্যকর ছিলেন খালেদ আহমেদ। দুই বিধ্বংসী ব্যাটার শেরফান রাদারফোর্ড ও শিমরান হেটমায়ারকে ফিরিয়ে রংপুরকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন। শেষ দিকে প্রায় হাতের নাগালে চলে যাওয়া মুহূর্তেও পরপর দুই উইকেট তুলে নেন টাইগার এই পেসার।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM