টানা বৃষ্টি আর চলমান বন্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। গেল সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সবজির দাম। সবচেয়ে বেশি কাঁচা মরিচের দর।
খুচরাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩শ টাকায় উঠেছে। অথচ গত সপ্তাহেও তা ৮০ থেকে ১শ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে বিভিন্ন কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তাছাড়া বেগুনসহ একাধিক সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
হঠাৎ কাঁচা মরিচের এই মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, টানা কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কাঁচামরিচসহ অনেক সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে একশত টাকারও বেশি। একইভাবে বেগুন ৮০-১০০ টাকা। করলা ৮০ টাকা, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, কচুরমুখি ৬০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা, সজনেডাটা ১২০-১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকা হালি, বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী শাহীন বলেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছে। ফলে সবজি আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে।
তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলু, মসলা,মাছ ও মাংসের দাম। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৩০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল (চিকন দানা) ১৪০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল (মোটাদানা) ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম ১২৮-১৩০ টাকা, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি আগের মতো ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৪০০ টাকায়। আকারভেদে রুই ও কাতলের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেএন/পিআর