চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নন্দনকানন ৩নং গলির হরিশদত্ত লেইনে অবস্থিত সোহেলের ভাড়াকৃত দুইটি কক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডিবি-পশ্চিম।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিচালিত এ অভিযানের সময় চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে দেহ ও কক্ষ তল্লাশী করে বিভিন্ন মডেলের ব্যবহৃত ৩৪২টি মোবাইল ফোন, ৬টি পুরাতন ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং চোরাই মোবাইল ও ল্যাপটপ ক্রয়-বিক্রয়ের নগদ ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. তানভির হাসনাইন (৩২), মো. সোহেল উদ্দিন (৩২), মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৬), মো. মোহাম্মদ হোসাইন (২২) ও আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকালে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি চক্র জনসাধারণের পকেট হতে নগদ টাকা, মোবাইল ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল হাতিয়ে নিচ্ছে।
এই চক্রগুলো সাধারণত ভিড়ের মধ্যে বা জনসমাগমস্থলে বেশি সক্রিয় থাকে। এরা যাত্রীবেশী হয়ে বা সাধারণ মানুষের মতো মিশে গিয়েও এই কাজ করে থাকে।
এছাড়া, তারা বিভিন্ন উৎসব বা অনুষ্ঠানেও এই ধরনের অপরাধ বেশি করে থাকে। এচক্র গুলো পকেট মার বা ছিনতাইয়ের সময় কখনো কখনো হিংসাত্মক আচরণ পূর্বক ভিকটিমকে মারধর করতঃ জোর করে মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে তারা চুরি-ছিনতাইকৃত মোবাইল গুলো অধিক দামে দেশের বিভিন্ন জেলা সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মায়ানমার, নেপাল ও ভারতে পাঠিয়ে দেয়।
পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এরূপ চক্রের সদস্যরা আটক হয়ে আইনের আওতায় আসলেও পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই অপরাধের জড়িত হয়ে পড়ছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল চোরাই মোবাইল ও ল্যাপটপসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে তানভির ও সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিএমপি’র কোতোয়ালী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ৪টি মামলা এবং রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেলের নামে ৫টি মামলা রয়েছে।
আটক ৫ জনকে সংশ্লিষ্ট ধারায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতে পাঠানো হবে জানালেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান।
জেএন/পিআর