অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিনোদন ডেস্ক :

পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। করাচির ডিফেন্স ফেজ-৬-এর একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের (৩২) মরদেহ।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে ফ্ল্যাটটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে খবর দেন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করে নিথর দেহ। খবর জিও নিউজের।

- Advertisement -google news follower

পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ জানান, মরদেহটি অত্যন্ত পচনধর্মী অবস্থায় ছিল, ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার ফলাফলের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুমাইরার দেহ ছিল ‘অগ্রসর পচনের স্তরে’। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো ছিল অচেনা রূপে এবং মুখমণ্ডলের কোনো বৈশিষ্ট্য বোঝার উপায় ছিল না।

- Advertisement -islamibank

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘শরীরের বেশির ভাগ অংশে পেশী ছিল না। হাড় স্পর্শ করলেই ভেঙে যাচ্ছিল। মস্তিষ্ক পুরোপুরি পচে গিয়ে দেহের অভ্যন্তরে একটি কালো জৈব পদার্থে পরিণত হয়েছিল।’

আরও উল্লেখ করা হয়, হাড়ে কোনো ভাঙা বা ক্ষতের চিহ্ন নেই, তবে জয়েন্টের কার্টিলেজও ছিল না। দেহের চুলে পাওয়া গেছে বাদামি রঙের পোকা।

তবে ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে, ম্যাগট বা শুঁয়াপোকা দেখা যায়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহ যে পরিবেশে পড়ে ছিল, সেটি অপেক্ষাকৃত শুকনা ছিল এবং তাপমাত্রা দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ছিল।

উল্লেখ্য, লাহোরের মেয়ে হুমাইরা ২০১৫ সালে মিডিয়ায় পথচলা শুরু করেন। ছোট পর্দায় ‘জাস্ট ম্যারেড’, ‘এহসান ফারামোশ’, ‘গুরু’ ও ‘চল দিল মেরে’র মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন।

বড় পর্দায় কাজ করেছেন ‘জালিবি’ ও ‘লাভ ভ্যাকসিন’ (২০২১) চলচ্চিত্রে। ২০২২ সালে এআরওয়াই ডিজিটালের রিয়েলিটি শো ‘তমাশা ঘর’–এ অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন।

২০২৩ সালে ‘ন্যাশনাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস’–এ সেরা সম্ভাবনাময় অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

এদিকে হুমাইরার পরিবার শুরুতে মরদেহ নিতে চায়নি। তবে পরে ভাই নাভিদ আসগর করাচিতে এসে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ গ্রহণ করেন। তার ভাষায়, ‘আমরা এখানে এসেছি, সব আইনিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ বুঝে নিয়েছি।’

নাভিদ আসগর জানান, হুমাইরা সাত বছর আগে লাহোর থেকে করাচিতে চলে আসেন এবং পরিবার থেকে দূরত্ব তৈরি হয়।

প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। এ কারণেই আমার বাবা বলেছিলেন, যদি কোনো জরুরি অবস্থা হয়, তাহলে সেখানেই দাফন করো।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM