রাজধানীর বনানী ও কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ ও গাজীপুরে চারটি পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এ অভিযানে আবাসিক ও শিল্প এলাকায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ পাইপ ও সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
বনানীর বিটিসিএল কলোনির আনসার ক্যাম্প ডি-২ বিল্ডিংয়ের বস্তিতে আনুমানিক দু’শ ডাবল চুলার অবৈধ গ্যাস রাইজার দ্বিতীয়বারের মত ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া, বিটিসিএল মাইক্রোওয়েভ ভবনের পশ্চিমের গলি, মন্দিরের গলি, জি-১৮ কোয়ার্টারের পেছন ও ডি-৩ কোয়ার্টারের সামনেও কয়েকশ’ অবৈধ চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়নের বোরহানিবাগে এক কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২টি তাপাই ভাট্টি এবং ১৬শ’ ঘনফুট/ঘণ্টা লোডের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সেইসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
এ গ্যাস লাইন উৎস পয়েন্ট থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। একই অভিযানে মুসলিমবাগে চারটি পৃথক পয়েন্টে অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, এই অভিযানের ফলে মাসে প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭১০ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার পুরান বাউশিয়া ও চর বাউশিয়া মধ্যমকান্দিতে দুটি চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এক্সক্যাভেটর মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এতে দৈনিক আনুমানিক ২৬ হাজার ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হবে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। কারখানা ও জমির মালিকদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কোনাবাড়ীতে খালেক সাহেবের ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
সেখানে ৮টি অবৈধ ও বিল বইবিহীন রাইজার বিচ্ছিন্ন করে ২৫৭টি দ্বিমুখী চুলার সংযোগও কেটে দেওয়া হয়। ‘মীর মেটাল’ নামে একটি কিচেন র্যাক কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭টি অবৈধ বার্নার ফ্রেম জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকার বনানীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়, কেরানীগঞ্জে মনিজা খাতুন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হাছিবুর রহমান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পেট্রোবাংলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকারের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
জেএন/পিআর
