গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত : বিবিসি বাংলা

অনলাইন ডেস্ক

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। খবর বিবিসি বাংলার।

- Advertisement -

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮) ইমন তালুকদার (২৭) ও টুঙ্গীপাড়ার সোহেল রানা মোল্লা (৩০)।

- Advertisement -google news follower

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বিবিসিকে জানান, “এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানিয়েছেন, রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ কার্যকর থাকবে।

- Advertisement -islamibank

এ ঘটনার আগে, বিকেলে শহরের সদর এলাকায় এনসিপির সভা শেষে ফেরার পথে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এনসিপির অভিযোগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই এই হামলায় জড়িত।

হঠাৎ করেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে তারা সমাবেশস্থলে ঢুকে পড়ে, শুরু হয় ভাঙচুর ও হামলা। মুহূর্তেই শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এনসিপির শীর্ষ নেতারা নিরাপত্তার অভাবে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ঘটনার পর দেশব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে তাৎক্ষণিক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে। অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। জামায়াতে ইসলামী আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এনসিপি বলছে, রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে আয়োজিত এই কর্মসূচিকে পণ্ড করতেই হামলা চালানো হয়েছে।

সরকারের ‘নিষিদ্ধ সহযোগী’ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির নেতারা।

প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জ শহরে দুপুরেই ১৪৪ ধারা জারি করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। এরপর সন্ধ্যায় দেশব্যাপী উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কারফিউ জারি করা হয়। বর্তমানে শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে এবং পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM